ঢাকা সফররত যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে কোনো রাজনৈতিক দলের কোনো ধরনের শঙ্কা আছে কিনা তা জানতে চেয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
পর্যবেক্ষক দলটি বুধবার সচিবালয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে বৈঠক করে। মন্ত্রী পরে সাংবাদিকদের কাছে বৈঠকের বিষয়বস্তু তুলে ধরেন।
আনিসুল হক বলেন, ‘নির্বাচনে কে আসবে কে আসবে না, তা নিয়ে আশঙ্কা আছে কি না- পর্যবেক্ষক দল তা জানতে চেয়েছে। জবাবে তিনি বলেছেন, বর্তমান সরকার চায়, সব দল নির্বাচনে আসুক। কিন্তু কে নির্বাচনে আসবে আর কে আসবে না, সেটি সেই দলের সিদ্ধান্ত।’
মন্ত্রী উল্লেখ করেন, ‘পর্যবেক্ষক দলের মূল বক্তব্য ছিল- ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট ও সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টের মধ্যে পার্থক্যটা কোথায়? আমি সেই পার্থক্যের কথা তাদের অত্যন্ত পরিষ্কারভাবে বলেছি।
‘তারা সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট, জুডিশিয়ারি সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। আমি জুডিশিয়ারির সম্পূর্ণ ইতিহাস তুলে ধরেছি। মামলাজট সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। এজন্য আমরা কী করেছি সেটি বলেছি। নির্বাচন নিয়ে তারা আমাকে কোনো পরামর্শ দেননি; তবে জানতে চেয়েছেন।’
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের সঙ্গে অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে আলাপ-আলোচনা হয়েছে। আমি তাদের বলেছি যে শেখ হাসিনার সরকার অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করার ব্যাপারে বাংলাদেশের জনগণের কাছে অঙ্গীকারবদ্ধ। নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ হবে।’
তিনি বলেন, অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করার জন্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের নতুন আইন প্রণয়ন করেছে সরকার। কমিশন নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হওয়ার জন্য আইনের কিছু পরিবর্তন চেয়েছিল। সেসব পরিবর্তন করা হয়েছে।
‘আমি বলেছি, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর পরই নির্বাচন সংক্রান্ত যেসব অফিস-আদালত, ডিপার্টমেন্ট আছে সেগুলো নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে। এ তিনটি জিনিস দেখলেই বোঝা যাবে শেখ হাসিনার সরকার বাংলাদেশে অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ।’
আইনমন্ত্রী জানান, সংলাপ এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে বৈঠকে কোনো আলোচনা হয়নি।