মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার হাড়াভাঙ্গা গ্রামে প্রেমিকার বাড়ির উঠানে থাকা পরিত্যক্ত পাতকুয়ার ভেতর থেকে নিখোঁজ হওয়ার এক মাস পর এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মিরা।
বুধবার উপজেলার কাজিপুর ইউনিয়নের হাড়াভাঙ্গা গ্রামের মাদ্রাসাপড়ার জাহাঙ্গীর আলমের বাড়ির পরিত্যক্ত কুয়ায় সাড়ে চার ঘন্টার অভিযান শেষে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে লাল্টুর মরদেহ উদ্ধার হয়।
২৫ বছর বয়সী লাল্টু উপজেলার কাজিপুর ইউনিয়নের নওদাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা এবং পেশায় তিনি একজন নির্মাণ শ্রমিক (রাজ মিস্ত্রি) ছিলেন।
প্রেমিকা ২৭ বছর বয়সী সাবিনা খাতুন হাড়াভাঙ্গা গ্রামের সৌদি প্রবাসী জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী। বতর্মানে তিনি গাংনী থানায় পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন।
গাংনী থানার ওসি তাজুল ইসলাম বলেন, ‘গত ৯ সেপ্টেম্বর নির্মাণ শ্রমিক লাল্টু কাজের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন। তারপরে তিনি আর বাড়ি ফিরে না এলে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করে। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাকে না পেয়ে ১০ সেপ্টেম্বর পরিবারের পক্ষ থেকে গাংনী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। সেই অভিযোগের পর থেকে লাল্টুকে উদ্ধারে মাঠে নামে পুলিশ।’
লাল্টু মিয়ার গলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মিরা। ছবি: নিউজবাংলা
মঙ্গলবার পুলিশ হেফাজতে নেয়ার পর সাবিনাকে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে লাল্টুর গলিত মরদেহ সাবিনার বাড়ির পরিত্যক্ত কুয়ার (ইন্দারার) ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয়।
তাজুল ইসলাম আরও জানান, প্রাথমিক তদন্ত সাপেক্ষে পুলিশ জানতে পারে, সৌদি আরব প্রবাসী জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী সাবিনা খাতুনের বাড়িতে ইটের খোয়া ভাঙ্গার কাজে এসে সাবিনার সঙ্গে পরিচয় হয় লাল্টুর । পরবর্তীতে তাদের মাঝে বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে।