খুলনা জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের স্বাক্ষর জাল করে ৪০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে অফিস সহায়ক এম. সোহেল আরমানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের খুলনার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সোমবার মামলাটি করেন দুদকের সহকারী পরিচালক তরুন কান্তি ঘোষ।
দুদকের খুলনা জেলার উপপরিচালক মো. আবদুল ওয়াদুদ বলেন, ‘তদন্তকালে এই অপরাধের সঙ্গে অন্য কারও সংশ্লিষ্টতা পেলে তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে।’
তিনি জানান, তরুন কান্তি ঘোষকে মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে।
অভিযুক্ত অফিস সহায়ক এম. সোহেল আরমানের পূর্বে খুলনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে কর্মরত ছিলেন। পরে তাকে কয়রা উপজেলার মহেশ্বরীপুর ইউনিয়ন ভুমি অফিস পাঠানো হয় বদলি দিয়ে। বর্তমানে তিনি সাময়িকভাবে বরখাস্ত আছেন।
মামলার বিবরণীতে জানানো হয়েছে, এম. সোহেল আরমান খুলনা জেলা প্রশাসন কর্তৃক পরিচালিত সৈয়দপুর ট্রাস্ট এস্টেটের টাকার চেকে স্বাক্ষর জাল করে ও প্রকৃত স্বাক্ষর করা চেকে অতিরিক্ত অংক বসিয়ে তিন ধাপে মোট ৪০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এর মধ্যে সৈয়দপুর ট্রাস্ট এস্টেটের সভাপতি খুলনা জেলা প্রশাসক ইয়াসির আরেফীনের স্বাক্ষর জাল করে ছয়টি চেকের মাধ্যমে সাত লাখ টাকা ও জেলা প্রশাসকের প্রকৃত স্বাক্ষরিত পাঁচটি চেকের টাকার অঙ্কের বাম পার্শ্বে অতিরিক্ত অঙ্ক বসিয়ে আট লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
এছাড়াও রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর ও সৈয়দপুর ট্রাস্ট এস্টেটের সদস্য সচিব সিফাত মো. ইশতিয়াক ভূঁইয়ার স্বাক্ষর জাল করে তার নিজ (এম. সোহেল আরমান) নামীয় সোনালী ব্যাংকের স্যার ইকবাল রোড শাখা ২৫ লক্ষ টাকা হস্তান্তর করেছেন।