রাজধানীর রামপুরায় উড়ালসড়কের নিচ থেকে এক তরুণীর মরদহে উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার গভীর রাতে ওই তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করে রমনা থানা পুলিশ।
পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে তার মরদেহ রাখা হয়।
২১ বছর বয়সী ওই তরুণীর নাম সাহিদা ইসলাম মিম। তার বাবার নাম শেখ আবু সাঈদ, মা আজিমুন ইসলাম। সাহিদার বাবা বেঁচে নেই। রাজধানীর হাতিরঝিল থানা এলাকার ওমর আলী লেনে পরিবারের সঙ্গে থাকতেন সাহিদা।
তিনি বেশ আগেই পড়ালেখা বাদ দিয়েছেন বলে নিউজবাংলাকে তার পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে তার মা আজিমুন ইসলাম বলেন, ‘আমার মেয়ে বর্তমানে নাচ করত। কাল রাত সাড়ে আটটার দিকে ফোন করে ওকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায় ওর বন্ধু। পরে বারবার ফোন দিলেও ও ফোন রিসিভ করে নাই।
‘রাতে রমনা থানা থেকে পুলিশ ফোন দিয়ে আমাকে থানায় যেতে বলে। থানায় গিয়ে আমার মেয়ের মরদেহ দেখতে পাই।’
তার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেন আজিমুন ইসলাম।
রমনা থানার উপপরিদর্শক আমেনা খানম জানান, ‘রাত তিনটার দিকে আমরা খবর পেয়ে মৌচাক থেকে রামপুরা প্রধান সড়কের ফ্লাইওভারের নিচ থেকে ওই তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করি। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ সোমবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে ঢামেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
হত্যার অভিযোগের বিষয়ে এসআই আমেনা খানম বলেন, ‘ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা যাবে।’