কক্সবাজারের টেকনাফের একটি পাহাড় থেকে এক যুবককে অপহরণ করা হয়েছে।
উপজেলার বাহারছড়া মারিষবনিয়া পাহাড়ে শনিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।
অপহৃত যুবক মাহমুদুল হক বাহারছড়া মারিষবনিয়া গ্রামের বাসিন্দা। অপহণের পর মুঠোফোনে মাহমুদুলের স্বজনদের কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন অপহরণকারী।
বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক মশিউর রহমান রোববার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মাহমুদুলের স্বজনদের বরাত দিয়ে মশিউর রহমান বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে পাহাড়ে থাকা রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা টাকার জন্য স্থানীয় লোকজনকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করছে। মাহমুদুলকেও মুক্তিপণের জন্য অপহরণ করা হয়েছে।’
মাহমুদুলের মা শামসুন্নাহার বলেন, ‘রোববার সকালে একটি অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন করে জানানো হয়, মাহমুদুলকে জীবিত ফেরত চাইলে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিতে হবে। বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানালে ছেলেকে মেরে ফেলা হবে বলেও হুমকি দেয়া হয়।’
পরে ছেলেকে উদ্ধারের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তা চান মাহমুদুলের পরিবার।
বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ফরিদ উল্লাহ বলেন, ‘শনিবার সকালে মাহমুদুল পাহাড়ে কঞ্চি সংগ্রহ করতে গিয়ে আর ফেরেননি। রোববার সকালে নিখোঁজ মাহমুদুলের পরিবারের কাছে অচেনা একটি মোবাইল নম্বর থেকে কল করে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়।
‘ওই যুবকের পরিবারটি গরিব ও অসহায়। তাদের পক্ষে পাঁচ হাজার টাকা দেয়াও সম্ভব নয়।’
এ বিষয়ে বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক মশিউর রহমান বলেন, ‘স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যের মাধ্যমে বিষয়টি শুনেছি। যেহেতু পুলিশকে জানালে অপহরণকারী তাদের ছেলেকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে, তাই রোববার দুপুর পর্যন্ত পরিবার থেকে কোনো অভিযোগ আসেনি।’
এরপরও বিষয়টি মাথায় রেখে পুলিশ কাজ করছে বলে জানান মশিউর।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ১০ মাসে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ৮৭টি অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৪৩ জন স্থানীয় বাসিন্দা, বাকি ৪৪ জন রোহিঙ্গা।
অপহৃত ব্যক্তিদের মধ্যে অন্তত ৩৯ জন মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেয়েছেন বলে ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে।