মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় মেঘনা নদীতে ট্রলারডুবির ঘটনায় রোববার আরও একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
এ নিয়ে ট্রলারডুবির ঘটনায় উদ্ধার করা হলো তিনজনের মরদেহ। এখনও নিখোঁজ রয়েছে তিন শিশু।
মেঘনা নদীর ষাটনল লঞ্চঘাটের সামনে গাজী বাড়ি এলাকা থেকে সকাল ১০টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করে নৌবাহিনীর উদ্ধারকারী দল।
মরদেহটি ওই ঘটনায় নিখোঁজ সাব্বিরের বলে শনাক্ত করে স্বজনরা।
ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজ তিন শিশু হলো মফিজুলের দুই মেয়ে জান্নাতুল মাওয়া (৬), জান্নাতুল ফেরদৌস সাফা (৩) ও সাব্বিরের ছেলে ইমাত (২)। তাদের উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এর আগে রোববার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে চাঁদপুরের মতলব উপজেলার ষাটনল এলাকায় মেঘনা নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় এ ঘটনায় নিখোঁজ জান্নাতুল মারওয়া নামে আট বছরের শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
বৈরী আবহাওয়ার কারণে শনিবার সন্ধ্যায় উদ্ধার অভিযান সাময়িক বন্ধ রাখা হলেও রোববার সকাল ছয়টা থেকে ফের সমন্বিত উদ্ধার অভিযান শুরু করে নৌবাহিনী, কোস্ট গার্ড, ফায়ার সার্ভিস, বিআইডব্লিটিএ ও নৌ পুলিশ।
এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের উপপরিচালক ওবায়দুল করিম জানান, উত্তাল মেঘনায় তীব্র স্রোত রয়েছে। পানির গভীরতা অনেক বেশি। এ কারণে উদ্ধারকাজ বিঘ্নিত হচ্ছে।
গত শুক্রবার সন্ধ্যায় মুন্সীগঞ্জ চিরকিশোরগঞ্জ ফেরিঘাটের অদূরে গজারিয়ার মেঘনা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় ১১ যাত্রী নিয়ে ডুবে যায় আনন্দ ভ্রমণের ট্রলার। এতে নিখোঁজ হয় ছয়জন।
সুমনা আক্তার নামে এক নারীর মরদেহ শনিবার সকালে ও রোববার সকালে জান্নাতুল মারওয়া ও সাব্বিরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছে তিন শিশু।