বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার উদ্ধার করা মরদেহ দুইটি ভারতীয় নাগরিকের বলে নিশ্চিত করে লালমনিরহাট সদর থানা। সেই দুই মরদেহের পরিচয় সনাক্ত করে ভারতীয় পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে লালমনিরহাট সদর থানা পুলিশ।
শনিবার সকালে সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের চওড়াটারী সীমান্ত দিয়ে দুই ভারতীয় নাগরিকের মরদেহ হস্তান্তর করা হয় বডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মাধ্যমে।
এর আগে শুক্রবার সকালে ও বৃহস্পতিবার রাতে সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের কালমাটি ও হরিনচওড়া এলাকা থেকে মরদেহ দুইটি উদ্ধার করা সদর পুলিশ।
লাশ হস্তান্তরের সময় বাংলাদেশের পক্ষে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার (ওসি) ওমর ফারুক ও ভারতের পক্ষে দিনহাটা পুলিশ ক্যম্পের ইনচার্জ সাব-ইন্সপেক্টর রাজেন্দ্র তামাংসহ বিএসএফ গিতলদাহ ক্যাম্পের অ্যাসিসট্যান্ট কমান্ড্যান্ট পাপ্পু মিনা উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানান, প্রবল বর্ষণে ভারতের সিকিমে বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসে তিস্তা নদীর পানি। ফলে লালমনিরহাটে তিস্তা অববাহিকায় বন্যা দেখা দেয়। বুধবার রাতে বন্যা হলেও বৃহস্পতিবার সকালে পানি কমে যায় তিস্তা নদীতে। পানিতে মাছ ধরতে নেমে স্থানীয়রা হরিনচওড়া গ্রামের একটি ধান ক্ষেতে মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয় জেলেরা। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
শুক্রবার সকালে স্থানীয়রা কালমাটি ঘাট এলাকায় তিস্তা নদীর চরে কাজে গিয়ে একটি মরদেহ দেখে পুলিশ খবর দেয়। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে পাঠায়।
পরে সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষে দুই মরদেহ ভারতীয় বলে নিশ্চিত করলে উভয় সীমান্ত বাহিনী পতাকা বৈঠকের আহবান করে। পরে পতাকা বৈঠকে মরদেহ ভারতীয় বলে নিশ্চিত হলে ভারতীয় পুলিশের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করে সদর থানা পুলিশ।
লালমনিরহাট সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক বলেন, ‘অজ্ঞাত দুই মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে আইনগত প্রক্রিয়া শেষে ভারতীয় বলে নিশ্চিত হলে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ভারতীয় পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’