বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কী কারণে কিছু শর্ত পূরণ করতে পারেনি, আইএমএফকে জানাল বাংলাদেশ ব্যাংক

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ৪ অক্টোবর, ২০২৩ ২১:০৮

অক্টোবরের মধ্যে ২৫ বিলিয়ন ডলার রির্জাভ রাখার শর্ত দিয়েছিল আইএমএফ। যার মধ্যে জুন শেষে কমপক্ষে ২৪ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলার রাখার পূর্বশর্ত ছিল। সংস্থাটির হিসাবে এটি পূরণ করতে পারেনি বাংলাদেশ ব্যাংক।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এরই মধ্যে বাংলাদেশকে ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন বা ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন করেছে। যার প্রথম কিস্তির অর্থ পেয়েছে বাংলাদেশ।

তবে পুরো ঋণ প্রদানের প্রক্রিয়াটি ছিল শর্তে মোড়ানো। এমনকি ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি পেতেও বাংলাদেশকে বেশ কয়েকটি শর্ত দেয় সংস্থাটি। এর মধ্যে অন্যতম ছিল চলতি বছরের জুন শেষে নিট আন্তর্জাতিক রিজার্ভ (এনআইআর) ২৪ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলারে রাখা। তবে আইএমএফের হিসাবে সেই শর্ত পূরণে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ।

বুধবার ঢাকায় সফররত আইএমএফ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তাদের বৈঠক হয়। বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের নেয়া নানা সংস্কারের আদ্যোপান্ত তুলে ধরেন ব্যাংকের কর্মকর্তারা।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ বিষয়ে জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক। বাংলাদেশ ব্যাংক যেসব শর্ত পূরণ করতে পারেনি, তার কারণ ব্যাখা করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আইএমএফের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈঠকে ঋণের শর্তানুযায়ী সংস্কার নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে অগ্রগতি তাদেরকে জানানো হয়েছে। এমনকি যেসব জায়গায় ঘাটতি রয়েছে তার কারণও ব্যাখা করা হয়েছে।’

তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, আইএমএফের দেয়া শর্তের মধ্যে রিজার্ভ ছাড়া বেশিরভাগই পূরণ হয়েছে। এই বৈঠকের ফলে ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদ প্রকাশ করেন কেউ কেউ।

বৈঠকে অর্থনৈতিক উন্নয়ন, ভর্তুকি, রিজার্ভ পরিস্থিতি, খেলাপি ঋণ, মুদ্রানীতি, অর্থপাচার, রাজস্ব সংস্কার ও পুঁজিবাজার নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। শুরুর দিনে অর্থনৈতিক অগ্রগতি, অর্থপাচার, ভর্তুকি, মুদ্রানীতি, রির্জাভের সার্বিক পরিস্থিতি ও ব্যাংকিং নানা বিষয় ছিল আলোচ্যসূচিতে। পাশাপাশি যেসব শর্ত এখনো পূরণ হয়নি তা নিয়েও দুপক্ষের মধ্যে আলোচনা হয়। এছাড়াও গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে বৈঠকে পুরো সফরের কার্যক্রম ও পরিকল্পনা প্রেজেন্টেশন আকারে তুলে ধরা হয়।

জানা গেছে, আইএমএফ প্রতিনিধিরা বাংলাদেশ ব্যাংককে বেঁধে দেয়া সর্বনিম্ন রিজার্ভের শর্ত পূরণ, রিজার্ভ থেকে রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলকে (ইডিএফ) আলাদা করে দেখানো, ডলারের রেট বাজারের ওপর ছেড়ে দেয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নেয়া পদক্ষেপ খতিয়ে দেখবে। এ ছাড়া আর্থিক খাতের সংস্কার, মুদ্রানীতি হালনাগাদ, বাস্তবায়নের দুর্বলতা, স্মার্ট সুদহার পদ্ধতি, অর্থনীতিতে নতুন সুদহারের বাস্তব চিত্র বিশ্লেষণে নজরদারি রাখার কথাও জানিয়েছে দাতা সংস্থাটি।

পূর্বনির্ধারিত এই বৈঠকটি বুধবার শুরু হয়েছে। তবে রুটিন কার্যাবলি ও পরিকল্পনার নানা দিক তুলে ধরে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করবে ঢাকায় সফররত প্রতিনিধি দলটি। এ সময় অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গেও বৈঠক করার কথা রয়েছে প্রতিনিধি দলটির। আগামী ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত ক্রমাগত চলবে এ বৈঠক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ রিজার্ভ ছিল ২৬ দশমিক ৯৩ বিলিয়ন ডলার। তবে আইএমএফের হিসাবে রিজার্ভ ছিল ২১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার।

উল্লেখ্য, অক্টোবরের মধ্যে ২৫ বিলিয়ন ডলার রির্জাভ রাখার শর্ত দিয়েছিল আইএমএফ। যার মধ্যে জুন শেষে কমপক্ষে ২৪ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলার রাখার পূর্বশর্ত ছিল। সংস্থাটির হিসাবে এটি পূরণ করতে পারেনি বাংলাদেশ ব্যাংক।

এ বিভাগের আরো খবর