ফেনীতে ঘুমের মধ্যে আগুনে পুড়ে প্রাণ গেল দুই শিশুর। পূর্ব বিরোধের জেরে পেট্রোল দিয়ে আগুন ধরিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি স্বজনদের।
শহরের মধ্যম বিরিঞ্চি ফকির বাড়ি রনি হোসেনের বাসায় মঙ্গলবার রাত একটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
প্রাণ হারানো শাহাদাত সপ্তম শ্রেণি ও গোলাপ দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র ছিল। তাদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
প্রাণ হারানো দুই শিশুর পিতা রনি জানান, কিছুদিন আগে তাদের পারিবারিক কবরস্থানে অনুমতি ছাড়া প্রতিবেশী জনি ও আনোয়ার তাদের এক স্বজনের মরদেহ দাফন করতে গেলে রনির সঙ্গে জনি ও আনোয়ারে কথা-কাটাকাটি হয়। এরপর ওই দুইজন রনিকে দেখে নেবে বলে হুমকি দেন।
এরই জেরে তারা বাড়িতে আগুন লাগিয়েছে বলে অভিযোগ করেন রনি।
রনি আরও জানান, মঙ্গলবার রাতে স্ত্রী ও দুই ছেলেকে নিয়ে একই ঘরে আলাদা খাটে ঘুমাচ্ছিলেন তারা। এরই মধ্যে ঘরের একদিক থেকে আগুন লাগা শুরু হয়। রনি ও তার স্ত্রীকে আগুন স্পর্শ করার আগেই স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে।
এরপর তাদের চেষ্টায় আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলে রনি হোসেনের বড় ছেলে মাইদুল ইসলাম শাহাদাতের দগ্ধ মরদেহ খাটের ওপর থেকে উদ্ধার করা হয়। ছোট ছেলে রাহাদুল ইসলাম গোলাপকে খাটের নিচ থেকে দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথে সেও মারা যায়।
আগুন নেভাতে আসা স্থানীয়রা জানান, ওই সময় ঘরটির প্রধান দরজা বাইরে থেকে রশি দিয়ে বাঁধা ছিল। এতে তারা ধারণা করছেন, এটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হত্যাকাণ্ড।
বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে খতিয়ে দেখার আহ্বান জানান ফেনী পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী।
ফেনী মডেল থানায় ওসি মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।