বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ম্যাজিস্ট্রেট আসার খবরে হাসপাতাল ফাঁকা

  • প্রতিনিধি, কুমিল্লা   
  • ৩ অক্টোবর, ২০২৩ ২৩:০৪

অভিযানে উপস্থিত থাকা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিক্যাল অফিসার ডা. মো. মেহেদী হাসান বলেন, ‘হাসপাতালটি অনুমতি ছাড়া অস্ত্রোপচার, রোগী ভর্তি, বিভিন্ন পরীক্ষা নিরিক্ষা চালিয়ে আসছিল। এছাড়াও হাসপাতালে গিয়ে কোন ডিউটি ডাক্তার বা কর্তৃপক্ষকে পাওয়া যায় নি। এমন অভিযোগে তাদের দুই লাখ টাকা জরিমানা ও প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করা হয়। স্বাস্থ্য বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

কুমিল্লায় ম্যাজিস্ট্রেটের অভিযান থেকে বাঁচতে হাসপাতাল একদম ফাঁকা করে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

কুমিল্লা নগরীর টমছম ব্রিজ এলাকায় অবস্থিত ‘কুইন্স হাসপাতালে’ মঙ্গলবার এ ঘটনা ঘটে।

নিয়ম অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছিলো না এমন অভিযোগে হাসপাতালটির বিরুদ্ধে অভিযানে যায় কুমিল্লা স্বাস্থ্য বিভাগ ও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট।

অভিযানে গিয়ে প্রথমে হাসপাতালে রোগী, চিকিৎসক,নার্সসহ কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীও খোঁজে পাওয়া যায়নি বলে জানান অভিযান পরিচালনাকারী কর্তৃপক্ষ।

কুমিল্লা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ইমদাদুল হক তালুকদারের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিক্যাল অফিসার ডা. মো. মেহেদী হাসান ও ডা. মো. আবদুল কাইয়ুম উপস্থিত ছিলেন।

অভিযানের বিষয়ে কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, হাসপাতালটির কোনো লাইসেন্স কিংবা অনুমতিপত্র ছিল না। নিয়ম না মেনেই সাত তলা আবাসিক ভবনের পাঁচটি ফ্লোরের ফ্ল্যাট গুলোকে কেবিন ও ওয়ার্ড বানিয়ে কুইন্স ডিজিটাল হাসপাতাল নামের কথিত এই সেবা কেন্দ্র খোলা হয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরে নগরীর এই গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় কোনো ডিউটি চিকিৎসক ছাড়াই সেবা দিয়ে আসছিল।

হাসপাতালে অভিযানের ভয়ে সকাল থেকেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হাসপাতাল রেখে পালিয়ে যায়। যদিও ভবনের কেয়ারটেকার জানায় তিন মাসের ভাড়া বকেয়া থাকায় তাদের চলে যেতে বলা হয়েছে। এসময় বিভিন্ন মাধ্যমের সহযোগিতা নিয়ে ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ডেকে এনে এর কারণ জিজ্ঞেস করা হয়। পরে কোন কাগজপত্র না দেখাতে পারায় দুই লাখ টাকা জরিমানা ও প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করা হয়।

অভিযানে উপস্থিত থাকা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিক্যাল অফিসার ডা. মো. মেহেদী হাসান বলেন, ‘হাসপাতালটি অনুমতি ছাড়া অস্ত্রোপচার, রোগী ভর্তি, বিভিন্ন পরীক্ষা নিরিক্ষা চালিয়ে আসছিল। এছাড়াও হাসপাতালে গিয়ে কোন ডিউটি ডাক্তার বা কর্তৃপক্ষকে পাওয়া যায় নি। এমন অভিযোগে তাদের দুই লাখ টাকা জরিমানা ও প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করা হয়। স্বাস্থ্য বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

সিনিয়র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইমদাদুল হক বলেন, ‘অভিযান পরিচালনাকালে কুইন্স হাসপাতাল তাদের বৈধতার কোন কাগজ দেখাতে পারিনি। তাই তাদেরকে জরিমানা ও সিলগালা করা হয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর