সরকার বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের বিষয়ে যথেষ্ট আন্তরিক বলে মন্তব্য করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বরং বিএনপিই বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে রাজনীতি করছে।’
শনিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়াস্থ শেখ রাসেল এভিয়ারি পার্কে নতুন চালুকৃত ক্যাবল কার (রোপওয়ে) উদ্বোধন শেষে একথা বলেন তিনি। এসময় ‘বেগম খালেদা জিয়াকে সরকার হত্যার চেষ্টা করছে’- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুর এমন অভিযোগের বিষয়ে সাংবাদিকদের একথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।
ড. হাছান বলেন, ‘খালেদা জিয়া যতবারই হাসপাতালে গেছে ততবারই বিএনপি বলেছে- বিদেশ না পাঠালে খালেদা জিয়ার জীবন সংকটাপন্ন এবং তাকে বাঁচানো কঠিন হবে। কিন্তু প্রতিবারই আল্লাহর রহমতে তিনি হাসপাতালে বাংলাদেশের চিকিৎসকদের চিকিৎসা ও সেবায় সুস্থ হয় বাসায় ফেরত গেছেন। বেগম খালেদা জিয়া যাতে সর্বোচ্চ চিকিৎসা পায়, সেজন্য যা কিছু করা দরকার, সেটি করছে সরকার।’
এ সময় তিনি বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দেশের পরিবেশ-প্রকৃতি রক্ষার জন্য যেভাবে কাজ করে যাচ্ছেন, সে কারণে দেশের পরিবেশ আগের চেয়ে অনেক ভালো। দেশে বন আচ্ছাদিত ভূমির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। একইসঙ্গে দেশে বৃক্ষ আচ্ছাদিত ভূমির পরিমাণও বৃদ্ধি পেয়েছে।’
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইচ্ছায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় শেখ রাসেল এভিয়ারি অ্যান্ড ইকো পার্ক স্থাপন করতে পেরেছি। আজ থেকে প্রায় দশ বছরেরও বেশি সময় আগে এই পার্কে আসা-যাওয়া মিলে ২.৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ক্যাবল কার (রোপওয়ে) স্থাপন করা হয়েছে। এই পার্কের উন্নয়নের জন্য আরও ১২৬ কোটি টাকা সরকার বরাদ্দ দিয়েছে।
‘সেই বরাদ্দ থেকে আরও দুই কিলোমিটার দৈর্ষ্য ক্যাবল কার স্থাপন করা হবে। মোট ৪.৪ কিলোমিটার ক্যাবল কার স্থাপিত হবে। দেশের কোথাও এত দীর্ঘ ক্যাবল কার নেই। শেখ রাসেল এভিয়ারি পার্কে বিদেশের অনেক জাতের পাখি আছে। আমাদের দেশে অনেক সাফারি পার্ক আছে, কিন্তু এরকম এভিয়ারি আমাদের দেশে আর কোথাও নাই। এটিই দেশের প্রথম এভিয়ারি পার্ক। আমি মনে করি, শেখ রাসেল এভিয়ারি পার্কে ক্যাবল কার পুনঃউদ্যোমে যখন চালু হবে, তখন দেশ-বিদেশের পর্যটকদের জন্য জনপ্রিয় গন্তব্যস্থলে পরিণত হবে এটি।’
চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের আয়োজনে চট্টগ্রাম অঞ্চলের বন সংরক্ষক বিপুল কৃষ্ণ দাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সুফল প্রকল্পের পরিচালক ও উপপ্রধান বন সংরক্ষক গোবিন্দ রায়, চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের ডিএফও আবদুল্লাহ আল মামুন, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বজন কুমার তালুকদার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতাউল গনি ওসমানী প্রমুখ।