আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপি বলেছিল যে আওয়ামী লীগকে কবরস্থানে পাঠাবে। আসলে বিএনপির রাজনীতিই কবরস্থানে যাওয়ার সময় এসেছে।’
শনিবার বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটে কৃষক লীগ আয়োজিত কৃষক মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম তো শেষ। কী হলো, তারা কী করতে পারলো? বিএনপি ভুয়া, ৩২ দল ভুয়া, তাদের আন্দোলনও ভুয়া।’
তিনি বলেন, ‘এই দেশ কারও বাপ-দাদার দান করা নয়। রাজপথ নাকি দখল করবে, ঢাকা ঘেরাও করবে! সেপ্টেম্বর তো চলেই গেল। প্রমাণ হলো যে, তারা দখল করতে পারবে না। বাংলার মানুষ তাদের সঙ্গে নেই। এমনকি রাজপথ ও ঢাকা নগরী দখল করার তাদের (বিএনপি) কোনো অধিকার নেই।’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের বক্তব্যের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সরকারকে যে অবৈধ বলছেন, তাহলে অবৈধ সরকারের কাছে কেন খালেদা জিয়ার মুক্তির আবেদন করেন? সরকারের অনুমতি নিতে হবে। না নিলে খবর আছে। পালাবার পথ পাবেন না।’
কৃষক লীগ সভাপতি সমীর চন্দের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন সংসদ উপনেতা ও আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, বাহাউদ্দিন নাসিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মির্জা আজম, এস এম কামাল, আফজাল হোসেন, ত্রাণ ও সমবায় সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি, দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু, যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল প্রমুখ।
সমাবেশটি সঞ্চালনা করেন কৃষক লীগ সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতি।
ওবায়দুল কাদের সমাবেশে আরও বলেন, ‘তাদের (বিএনপি) হাতে রক্তের দাগ। ১৫ আগস্টের রক্ত, ২১ আগস্টের রক্ত, ৩ নভেম্বরের রক্ত, বাংলার কৃষকের রক্ত। তারা হত্যাকারী, দুর্নীতিবাজ; দুর্নীতিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। সেই বিএনপির হাতে বাংলাদেশ নিরাপদ নয়; গণতন্ত্র, ভোট, নিরাপত্তা, মুক্তিযুদ্ধ কিছুই নিরাপদ নয়। এরা একাত্তরের বাংলাদেশ চায় না। খুন আর সন্ত্রাস চায়। এরা চায় দুর্নীতি আর স্বৈরাচারিতা।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘নেত্রী আসছেন, ডাক দেবেন। যখনই ডাক পাবেন রাস্তায় নেমে আসবেন। আমরা আর কোনো কালো হাতে বাংলাদেশ ছেড়ে দেব না। আমাদের যাত্রা আলোর দিকে ও সোনার বাংলাদেশ গড়ার দিকে।
‘আপনারা শপথ নিন। আগামী নির্বাচনে নৌকার পক্ষে ঐক্যবদ্ধ থাকুন।’