বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সাভারে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটনায় বিএনপির চার নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার

  • প্রতিনিধি, সাভার (ঢাকা)   
  • ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ২১:৪৮

গত বৃহস্পতিবার বিএনপির নেতা-কর্মীরা হেমায়েতপুরে কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। ঘটাস্থল থেকে বিস্ফোরিত ককটেলের খোসা, অবিস্ফোরিত ককটেল, ভাঙা কাচের অংশ ও বিএনপির এক দফা দাবি সম্বলিত ব্যানার উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান মামলার বাদী এসআই জলিল।

ঢাকার সাভারে সরকার পতনের এক দফা দাবির আন্দোলন শেষে ফেরার পথে ককটেল বিস্ফোরণ ও গাড়ি ভাংচুরের অভিযোগে বিএনপির ৪০ নেতা-কর্মীর নামে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় দলটির চার নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বিএনপির নেতা-কর্মীদের দাবি, তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা এই মামলা গায়েবি এবং গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে যৌক্তিক আন্দোলনকে দমানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

মামলা ও আসামিদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন সাভার মডেল থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে সাভার মডেল থানার এসআই আব্দুল জলিল বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

আসামি করা হয়েছে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-পরিবার কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা-১৯ (সাভার-আশুলিয়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য দেওয়ান মো. সালাউদ্দিন, ঢাকা জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি খন্দকার মাইনুল হাসান খান বিল্টু, সাভার উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ঢাকা জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি কফিল উদ্দিন, ঢাকা জেলা যুবদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মো. খোরশেদ আলম, সাভার থানা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলাম ওরফে সাইফুদ্দিন, সাভার পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বদিউজ্জামান বদিসহ ৪০ জনকে।

শুক্রবার রাতে সাভারের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আক্তার হোসেন কবিরাজ, উয়ালিউল্লাহ ওয়ালিদ, সজিব হোসেন ও ওসমান গনিকে গ্রেপ্তার করে সাভার মডেল থানা পুলিশ।

মামলার এজাহারে বলা হয়, বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় সাভারের আমিনবাজারে মিরপুর মফিদ-ই-আম স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে ঢাকা জেলা বিএনপি'র সমাবেশ হয়। ওইদিন সাভার মডেল থানা পুলিশের একটি দল আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় আমিনবাজার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দায়িত্ব পালন করছিলেন। বিকেলে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা সমাবেশ থেকে ফেরার পথে সাভারের হেমায়েতপুরে তানিন প্লাস্টিক চেয়ার কারখানার গোডাউনের সামনের পাকা রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ও চলন্ত গাড়ি ভাংচুর করে।

এজাহারে আরও বলা হয়, বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে পুলিশের ওই দল বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে পৌঁছলে বিএনপির নেতা-কর্মীরা পালিয়ে যান। স্থানীয়দের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য থেকে এ ঘটনার জন্য দায়ী হিসেবে বিএনপির নেতা-কর্মীদের চিহ্নিত করে পুলিশ। পরে ঘটনাস্থল থেকে একটি কালো রঙের শপিং ব্যাগে ৫টি অবিস্ফোরিত ককটেল, ৩টি বিস্ফোরিত ককটেলের খোসা, ৯টি কাঁচের টুকরা ও বিএনপির এক দফা দাবি সম্বলিত ব্যানার জব্দ করা হয়।

মামলার বাদী এসআই জলিল বলেন, ‘আমিনবাজারে অনুষ্ঠিত সমাবেশ থেকে ফেরার পথে বিএনপির নেতা-কর্মীরা হেমায়েতপুরে কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। ঘটনাস্থল থেকে বিস্ফোরিত ককটেলের খোসা, অবিস্ফোরিত ককটেল এবং ভাঙা কাচের অংশ উদ্ধার করা হয়েছে।’

ঢাকা জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি কফিল উদ্দিন বলেন, ‘আমরা তো ওই এলাকায় (হেমায়েতপুর) যাইনি। নেতা-কর্মীদের হয়রানি করতে অযথা এ মামলা দেয়া হয়েছে এবং আমাদের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।

সাভার মডেল থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, ‘বৃহস্পতিবারের ঘটনায় বিষ্ফোরক আইনে করা মামলায় ইতোমধ্যে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর