আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার নিত্যানন্দপুর ইউনিয়নের গোলকনগর গ্রামে দফায় দফায় চলছে বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা।
বুধবার সকালসহ গত কয়েক দিন ওই গ্রামের মধ্য, পশ্চিম ও উত্তরপাড়ায় অন্তত ১৫টি বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়েছে। লুটপাট করা হয়েছে গোয়ালের গরু-ছাগল।
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আবু সাঈদ বিশ্বাস নামের আওয়ামী লীগ কর্মী নিহত হন। এ ঘটনাকে পুঁজি করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা লিয়াকত আলী মেম্বর আসামিপক্ষের বাড়িতে দফায় দফায় হামলা চালান।
হামলায় ওই গ্রামের শাহীন বিশ্বাস, জজ বিশ্বাস, মোতলেব বিশ্বাস, বকু কাজীসহ অন্তত ১৫ জনের বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। হামলাকারীরা গোয়ালের গরু-ছাগলসহ ঘরের মালামাল লুট করে।
ওই গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত মুকুল কাজী বলেন, ‘আমি মারামারির সঙ্গে কোনোভাবেই জড়িত না। আমরা কোনো ঝামেলায় থাকি না। আমার বাড়িতে ভাঙচুর করা হয়েছে; ঘরের মালামাল লুটপাট করা হয়েছে। আমি সামাজিকভাবে দল করি। এটাই আমার দোষ।’
ক্ষতিগ্রস্ত সোহান বিশ্বাস বলেন, ‘মারামারিতে একজন মারা যাওয়াকে পুঁজি করে প্রতিপক্ষের লোকজন এখন বাড়িঘরে লুটপাট চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের অত্যাচারে গ্রামে অন্তত ২০টি পরিবারের পুরুষ বাড়িছাড়া। তারা দফায় দফায় হামলা ও ভাঙচুর করছেন।’
এ বিষয়ে শৈলকুপা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম জানান, বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করা হচ্ছে এমন কোনো খবর তার জানা নেই। তারপরও এমন ঘটনা যেন না ঘটে, সেই জন্য ওই এলাকায় পুলিশ পাঠানো হয়েছে।