বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘রক্তচোষা’ জনি গ্রেপ্তার

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ২০:৫৬

ডিএমপি’র তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার এইচ এম আজিমুল হক বলেন, ‘জনির নামে ছিনতাই, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধের ১৪টি মামলা রয়েছে। সে মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যান, চন্দ্রিমা মডেল টাউন, একতা হাউজিং, নবীনগর হাউজিং ও বসিলা এবং আদাবর থানা এলাকায় ছিনতাই, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, মারামারি ও মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত।’

রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার চিহ্নিত ছিনতাইকারী ও পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী মো. মনির হোসেন ওরফে মো. জনি মিয়া ওরফে ‘রক্তচোষা’ জনিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার দুপুরে মোহাম্মদপুরের একতা হাউজিং এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, পাঁচ রাউন্ড গুলি ও তিনশ’ গ্রাম হেরোইন জব্দ করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, মোহাম্মদপুর এলাকায় সংঘবদ্ধ কিশোর গ্যাং নিয়ে কাজ করতে গিয়ে এই এলাকার দুর্ধর্ষ, কুখ্যাত সন্ত্রাসী রক্তচোষা জনিকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) এইচ এম আজিমুল হক নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ (মঙ্গলবার) দুপুরে মোহাম্মদপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) তোফাজ্জল হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল তুরাগ নদী সংলগ্ন একতা হাউজিং এলাকা থেকে জনিকে গ্রেপ্তার করে।’

ডিসি বলেন, ‘জনির নামে ছিনতাই, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধের ১৪টি মামলা রয়েছে। সে মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যান, চন্দ্রিমা মডেল টাউন, একতা হাউজিং, নবীনগর হাউজিং ও বসিলা এবং আদাবর থানা এলাকায় ছিনতাই, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, মারামারি ও মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত।

‘জিনকে মোহাম্মদপুর এলাকার ত্রাস বলা চলে। এমন কোনো অপরাধ নেই যা সে করেনি। একবার তাকে আটক করতে গেলে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশের একজন এসআইকে কুপিয়ে আহত করে সে। অনেক বড় বড় অপরাধে জড়িত এই জনি। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে নতুন করে দুটি মামলা হবে।’

জনির নামের সঙ্গে রক্তচোষা যোগ হওয়ার বিষয়ে ডিসি আজিমুল হক বলেন, ‘কুখ্যাতির জন্য স্থানীয়রা তাকে এই নামে ডেকে থাকে। অবশ্যই সে এমন কোনো কাজ করেছে যার কারণে এই ভয়ঙ্কর নাম পরিচিতি পেয়েছে। মামলার সংখ্যা দেখেই বোঝা যাচ্ছে সে কতটা ভয়ঙ্কর।

‘বেশকিছু দিন ধরে সে সাধারণ মানুষকে বিরক্ত করছিল। এছাড়া জনির দুষ্কর্মের সহযোগী, আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়ার লোকজন থাকতে পারে। এ বিষয়গুলো আমরা তদন্তে আনার চেষ্টা করব। তাকে গ্রেপ্তারের পর জনমনে স্বস্তি ফিরেছে।’

এ বিভাগের আরো খবর