রাজধানীর মুগদায় ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হওয়া কিশোরী গৃহবধূকে মৃত বলে জানিয়েছেন মুগদা হাসপাতালের চিকিৎসক।
ওই গৃহবধূর নিজ বাসা থেকে রোববার সন্ধ্যায় তাকে উদ্ধার করে স্বজনরা মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
প্রাণ হারানো ১৭ বছর বয়সী মিথিলা আক্তার মেঘলা মুগদা এলাকায় স্বামী শান্তর সঙ্গে থাকত। তার বাড়ি সবুজবাগ থানার দক্ষিণগাঁও এলাকায়।
মিথিলার বড় বোন মিম আক্তার জানান, চার-পাঁচ মাস হয় ভালোবেসে বিয়ে করে মিথিলা। পরিবার মেনে না নিলেও বড় বোনের (মিম) সঙ্গে যোগাযোগ ছিল তার। তাদের বিশ্বাস হয়নি মিথিলা আত্মহত্যা করতে পারে।
তিনি বলেন, ‘তার স্বামী একটি কোম্পানিতে চাকরি করে। আমাদের অভিযোগ আমার বোনকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা তার নামে মামলা করব।’
মুগদা থানার এসআই আঙ্গুরা আক্তার সীমা বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করি। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার স্বামী শান্তকে আটক করা হয়েছে।’
তিনি জানান, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।