বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সিলেটের তারাপুর চা বাগানের শ্রমিকদের বিক্ষোভ

  • প্রতিবেদক, সিলেট   
  • ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১৬:২৬

জালালাবাদ থানার ওসি সাইফুল আলম বলেন, ‘সড়ক অবরোধের খবর পেয়ে আমরা গিয়ে অবরোধ তুলে দিই। এখন পরিস্থিতি শান্ত আছে। তারা নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে বিষয়টি সমাধান করবেন বলে জানিয়েছে বাগান কর্তৃপক্ষ।’  

বকেয়া মজুরির দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন সিলেটের তারাপুর চা বাগানের শ্রমিকরা।

চা বাগানের ভেতরের গোয়াবাড়ি সড়ক শনিবার দুপুরে প্রায় এক ঘণ্টা অবরোধ করেন তারা। পরে কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে অবরোধ প্রত্যাহার করেন তারা।বিক্ষোভকালে চা বাগানের জায়গায় দোকান নির্মাণেরও প্রতিবাদ জানান শ্রমিকরা।তাদের ভাষ্য, তারাপুর চা বাগানের শ্রমিকরা প্রতি বৃহস্পতিবার তাদের সাপ্তাহিক মজুরি পান, কিন্তু গত বৃহস্পতিবার মজুরি দেয়নি বাগান কর্তৃপক্ষ। মজুরির দাবিতে শনিবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত শ্রমিকরা তারাপুর চা বাগানের ভেতরের রাস্তা অবরোধ করেন। পরে পঞ্চায়েত কমিটির নেতাদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়।দুপুর একটার দিকে বাগান পঞ্চায়েত কমিটির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন বাগানের ব্যবস্থাপক।আন্দোলনরত চা শ্রমিক সঞ্জীব রায় বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত বেতনের বকেয়া টাকাগুলো আমরা এখনও পাইনি। এ ছাড়া গত দুই সপ্তাহের রানিং বেতনও আটকা পড়েছে। আমরা বেতন দেয়ার দাবি জানালে বাগানের মালিকপক্ষ, বিশেষ করে ম্যানেজার আমাদের হুমকি-ধমকি দেন।’তিনি আরও বলেন, ‘রাগীব-রাবেয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পাশে তারাপুর চা বাগানের কিছু জায়গা অবৈধভাবে বিক্রি করে দিয়েছে মালিকপক্ষ। এ জায়গায় তিনটি দোকানকোটা নির্মাণ করা হচ্ছে।

‘রাতের আঁধারে এসব কাজ হয়। আমরা এসব নির্মাণাধীন দোকানকোটা উচ্ছেদের দাবি জানাই।’এ ব্যাপারে চা শ্রমিক ইউনিয়ন সিলেট ভ্যালির কার্যকরী পরিষদের সভাপতি রাজু গোয়ালা জানান, শ্রমিকরা গত বৃহস্পতিবার মজুরি চা শ্রমিকরা পাননি। ফলে তারা রাস্তায় নামেন। এমনকি বাগান এলাকায় একটি দোকান নির্মাণ নিয়েও শ্রমিকরা ক্ষুব্ধ।তারাপুর চা বাগানের ব্যবস্থাপক রিংকু চক্রবর্তী জানান, শ্রমিকরা বাগান বন্ধ রেখেছেন। সে জন্য তাদের বেতন দেয়া হয়নি। বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে।

বাগানে দোকান নির্মাণ প্রসঙ্গে তিনি জানান, নতুন করে কোনো দোকান নির্মাণ হয়নি। আগে থেকে চালু একটি দোকান সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। বাগানের আয়ের জন্যই কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে তা করা হচ্ছে।জানতে চাইলে জালালাবাদ থানার ওসি সাইফুল আলম বলেন, ‘সড়ক অবরোধের খবর পেয়ে আমরা গিয়ে অবরোধ তুলে দিই। এখন পরিস্থিতি শান্ত আছে। তারা নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে বিষয়টি সমাধান করবে বলে জানিয়েছে বাগান কর্তৃপক্ষ।’

সিলেট নগরের পাঠানটুলা এলাকার প্রায় ৪২৩ একরের তারাপুর চা বাগান দেবোত্তর সম্পত্তি। প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার এ সম্পত্তি ১৯৯০ সালে জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে দখল করে নেন শিল্পপতি রাগীব আলী। ২০১৬ সালে উচ্চ আদালতের এক রায়ের পর রাগীব আলীর দখল থেকে চা বাগানের ভূমি উদ্ধার করা হয়।

ওই সময় আদালত নির্ধারিত সেবায়েত পঙ্কজ কুমার গুপ্তকে ওই বাগান বুঝিয়ে দেয়া হয়, তবে পরবর্তী সময়ে উচ্চ আদালতের এক রিভিউ রায়ে আলোচিত এ সম্পত্তি ব্যবস্থাপনার কর্তৃত্ব হারান পঙ্কজ গুপ্ত। বর্তমানে আদালতের নির্দেশনায় জেলা প্রশাসক গঠিত ব্যবস্থাপনা কমিটি দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে এ চা বাগান।

এ বিভাগের আরো খবর