বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভুল ভ্যাকসিনে গরু-ছাগলের মৃত্যু, দায় নেবে কে?

  • প্রতিনিধি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ   
  • ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ২৩:০৭

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রোববার সকালে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে গরু-ছাগলকে ভ্যাকসিন দেয়ার কাজটি করেছিলেন মাইনুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি। তিনি একসময় জেলা প্রাণীসম্পদের অধিদপ্তরের উপসহকারী নাইমুল হকের সহযোগী হিসেবে কাজ করতেন। তবে এ ঘটনার পর থেকে তিনি গা ঢাকা দিয়েছেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার বালিয়াডাঙা ইউনিয়নের যাদুপুর গ্রামে রোববার মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে গরু-ছাগলকে ভ্যাক্সিন দেন পশু চিকিৎসক পরিচয় দেয়া এক ব্যক্তি। সেই ভ্যাকসিন দেয়াই কাল হয়েছে গ্রামটির খামারিদের জন্য। এলাকায় তিন দিনের ব্যবধানে মরেছে ১১টি গরু। সেইসঙ্গে অসুস্থ হয়েছে অন্তত ৩০টির অধিক গরু।

একইসঙ্গে এতগুলো গরু মারা গেলেও ঠিক কী কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে, সে বিষয়ে সঠিক কোনো ধারণা নেই জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্টদের।

অবশ্য খামারিরা জানাচ্ছেন ভিন্ন কথা। তাদের দাবি, মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে গরু-ছাগল ভ্যাক্সিন দেয়ার পরই শুরু হয় এ ঘটনার।

মাহবুব আলম নামের এক খামারি বলেন, ‘আমার গরু দুটিকে ভ্যাকসিন দেয়ার পরদিন বিকেলেই তারা মারা গেছে।’

রেখা বেগম নামে আরেক খামারি বলেন, ‘অনেক কষ্টে একটি ষাড় লালন-পালন করছিলাম। বিক্রি করে সংসারে উন্নতি করার আশা ছিল। কিন্তু সব আশাই শেষ হয়ে গেল!’

তিনি বলেন, ‘গরুটা হঠাৎ মারা যায়। পরে জানতে পারি, গ্রামের আরও অনেকের গরুই মারা গেছে। কী কারণে মারা গেল কিছু বুঝতে পারছি না। এখন সবাই বলাবলি করছে, সেদিন মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে যে ভ্যাকসিন দিতে এসেছিল, সে আসলে পশুর ডাক্তার না। মানুষকে ভুল বুঝিয়ে টাকা কামিয়ে চলে গেছে। এদিকে গরু মরে গেল, এখন আমরা কার কাছে বিচার দেব?’

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রোববার সকালে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে গরু-ছাগলকে ভ্যাকসিন দেয়ার কাজটি করেছিলেন মাইনুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি। তিনি একসময় জেলা প্রাণীসম্পদের অধিদপ্তরের উপসহকারী নাইমুল হকের সহযোগী হিসেবে কাজ করতেন। তবে এ ঘটনার পর থেকে তিনি গা ঢাকা দিয়েছেন।

তবে এ ঘটনায় জেলা প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ নেই বলে জানান কর্মকর্তা মোস্তফিজুর রহমান।

তিনি বলেন, ‘মাইনুল ইসলাম ব্যাক্তিগতভাবেই এ ভ্যাকসিন দেয়ার কাজটি করেছেন। ঘটনাটি জানার পর আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করেছি, জেলা প্রশাসককেও জানিয়েছি। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে খামারিদের সঙ্গেও কথা বলেছি। পাশাপাশি কী কারণে গরুগুলো মারা গেল, সে বিষয়টি তদন্ত করতে আমাদের চিকিৎসকদের সমন্বয়ে একটি কমিটি করা হয়েছে।’

ইতোমধ্যে জয়পুরহাট আঞ্চলিক রোগ অনুসন্ধান গবেষণাগারের বৈজ্ঞনিক কর্মকর্তারা মৃত গরুর ময়নাতদন্ত করতে নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে গেছেন জানিয়ে এ কর্মকর্তা বলেন, ‘ওই এলাকায় যে সকল গরু এখন অসুস্থ, সেগুলোর চিকিৎসায় একটি দল সার্বক্ষণিক কাজ করছে।’

এ বিভাগের আরো খবর