মেয়ের প্রেমের বিয়ে নিয়ে মেনে নিতে না পেরে মানসিক চাপে এক পর্যায়ে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন এক বাবা। হিরণ চন্দ্র জলদাশ নামের ওই ব্যক্তি ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার দুপুর ১২টার দিকে ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার চর মজলিশপুর ইউনিয়নের কুঠিরহাট আশা অফিসের পাশে এই ঘটনা ঘটে।
আত্মহননকারী ৪৫ বছর বয়সী হিরণ ওই এলাকার জেলে বাড়ির বাসিন্দা।
আর্থিক অনটন এবং বিশেষ করে মেয়ের প্রেমের বিয়ের চাপ সইতে না পেরে আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, হিরণ চন্দ্র প্রতিদিনের মতো সোমবার সকাল ৯টার দিকে কুঠির হাটে গিয়ে নাস্তা করে বাড়ির দিকে যান। সাড়ে ১০টার দিকে উন্নয়ন সংস্থা আশা অফিসের পাশে একটি কড়ই গাছের ঢালে মাটি থেকে প্রায় ৩০ ফুট উপরে হিরণের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা।
খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়।
হিরণের স্ত্রী হীরা বালা দাস বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে পরিবারের অনটনে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন হিরণ। হয়তো এ চাপ সইতে না পেরেই তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন।’
তবে স্থানীয় চর মজলিশপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম. এ হোসেনের বক্তব্য ভিন্ন। হিরণের পরিবারের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ‘চলতি মাসের শুরুর দিকে হিরণের মেয়ে প্রেম করে গোপনে বিয়ে করে। ছেলে পক্ষ ওই মেয়েকে বউ করে ঘরে না তোলার খবরে হিরণ মানসিকভাবে চাপে পড়েন। রোববার রাতেও এ বিষয় নিয়ে হিরণ মোবাইল ফোনে ঝগড়া করেন।
‘আমার ধারণা, মেয়ের বিয়ের কারণেই হিরণ আত্মহত্যা করেছেন।’
সোনাগাজী মডেল থানার ওসি হাসান ইমাম বলেন, ‘মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’