চট্টগ্রাম নগরীতে ফের শিশু নিপীড়ন ও হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এবার চান্দগাঁও থানা এলাকায় ৭ বছর বয়সী এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
রোববার সকাল ১১টার দিকে চান্দগাঁও থানার চান্দার বাপের বাড়ি এলাকার দিদার কলোনির ভাড়া বাসা থেকে ওই শিশুর হাত-পা বাঁধা বিবস্ত্র মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত তানহা আক্তার মারিয়া লক্ষ্মীপুরের রামগতি এলাকার মো. বাকেরের কন্যা। শিশুটি চান্দগাঁও এলাকার একটি নূরানী মাদ্রাসায় লেখাপড়া করতো।
অন্যদিকে আটক ২২ বছর বয়সী রাকিবুল ইসলাম মুন্না কক্সবাজারের কক্সশাহী টিকা পল্লীর প্রয়াত ইউসুফের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, মারিয়ার বাবা বাকের পেশায় রিকশাচালক। আর মা শহরে একটি তৈরি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। কাজের তাগিদে বাবা-মা দু’জনই সারাদিন বাইরে থাকায় বাসায় শিশুটি একাই থাকত।
রোববার সকালে বাবা-মা কর্মস্থলে যাওয়ার পর ওই বাসার দরজা বন্ধ দেখে এক প্রতিবেশী নারী ভেতরে উঁকি দিয়ে দেখার চেষ্টা করেন। এ সময় টের পেয়ে ওই ঘর থেকে এলাকার এক যুবককে পালিয়ে যেতে দেখে তিনি ভেতরে যান। পরে বিছানায় তানহাকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় মৃত পড়ে থাকতে দেখে প্রতিবেশীদের জানান তিনি।
চান্দগাঁও থানার ওসি খাইরুল ইসলাম বলেন, ‘শিশুটির মরদেহ বিছানায় হাত-পা বাঁধা অবস্থায় প্রায় বিবস্ত্র অবস্থায় পড়ে ছিল। তার গলায় কালচে দাগ রয়েছে। আমাদের ধারণা ধর্ষণের পর শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) মর্গে পাঠানো হয়েছে।
‘আটক মুন্না এ ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।’
সবশেষ ২১ মার্চ বন্দর নগরীর পাহাড়তলী এলাকায় বাসা থেকে আরবি পড়তে গিয়ে নিখোঁজ হয় ১০ বছর বয়সী আবিদা সুলতানা আয়নী প্রকাশ আখিঁ মনি। ঘটনার ৮ দিন পর একই এলাকা থেকে তার বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় রুবেল নামে এক সবজি বিক্রেতাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।