ভারতে পাচার হওয়া ১৯ বাংলাদেশিকে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় পেট্রাপোল পুলিশ। এদের মধ্যে নারী, পুরুষ, এমনকি শিশুও রয়েছে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ধ্রুবাশ্রম, লিলুয়া, কিশোরালয় ও আনন্দ আশ্রম নামে শেল্টার হোমের হেফাজতে ছিলেন তারা।
শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ তাদের বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ওসি কামরুজ্জামান বিশ্বাস বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
দেশে ফেরত আসারা হলেন- স্নেহ বালা, হাসিবুল শেখ, শান্ত বর্মন, রিয়াজ মোল্লা সিয়াম শেখ, আকাশ চন্দ্র দাস, আফরিন জাহান, প্রিয়ন্তী খাতুন, আকলিমা খাতুন, মাসুম বিল্লাহ, সন্দিপ পাল, তৌফিক, অনিক চৌধুরী, মাসুদ সর্দার, সৌরভ বালা, রবিউল শেখ, মধু খান, আন্নি আক্তার, জেসমিন আক্তার, জাকিয়া আক্তার। তারা জামালপুর, নাটোর, সাতক্ষীরা, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, পঞ্চগড়, চাঁদপুর, বাগেরহাট, খুলনা, লালমনিরহাট ও নড়াইল জেলার বাসিন্দা।
বেনাপোলের পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে দেশে ফেরার পর জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার ৭ জন, মহিলা আইন সমিতি ৬ জন ও রাইটস যশোর নামে একটি বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) ৬ জনকে গ্রহণ করে। ফেরত আসা নারী-পুরুষ ও শিশুদেরকে তাদের পরিবারের কাছে পৌঁছে দেয়ার দায়িত্ব নিয়েছে এ তিন এনজিও।
জাস্টিক অ্যান্ড কেয়ারের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার মুহিত হোসেন বলেন, ‘ভালো কাজ দেয়ার কথা বলে দালালরা এদের ভারতে নিয়ে যায়। বিভিন্ন বাসা বাড়িতে কাজ করার সময় এরা পুলিশের হাতে আটক হয়। পরে পুলিশ তাদের জেলহাজতে পাঠায়। সেখান থেকে কয়েকটি এনজিও সংস্থা তাদের ছাড়িয়ে নিয়ে নিজেদের আশ্রয়ে রাখে।’
পরবর্তীতে দুই দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেয়া বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে তাদের ফেরত আনা হয়েছে বলে জানান তিনি।