হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বর্ণ পাচারে জড়িত থাকার অভিযোগে বিমানবন্দরে কর্মরত এক কফিশপ স্টাফ এবং যাত্রীকে আটক করেছে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন।
বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় তাকে আটক করে এয়ারপোর্ট এপিবিএন গোয়েন্দা দল। এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশের অ্যাডিশনাল এসপি মোহাম্মদ জিয়াউল হক এ তথ্য জানান।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- বিমানবন্দরে কর্মরত কফিশপ স্টাফ মো. জাভেদ ও যাত্রী বেলায়েত মোল্লা।
অ্যাডিশনাল এসপি জিয়াউল হক বলেন, ‘আজ সকালে ইকে ৫৮২ ফ্লাইটযোগে বেলায়েত মোল্লা ঢাকায় অবতরণ করেন। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে যাত্রী বেলায়েত বিমান থেকে নামার পর থেকেই নজরে রাখছিল এপিবিএন। এ সময় তিনি আগমনী ইমিগ্রেশনে না গিয়ে উপরে ডিপার্চার এলাকায় প্যাসঞ্জার ওয়েটিং এলাকায় ঘোরাফেরা করেন। ফোনে যোগাযোগ করেন এরোস নামের কফিশপের স্টাফ জাভেদের সঙ্গে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যাত্রী বেলায়েত সঙ্গে থাকা গোল্ড বারগুলি জাভেদকে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে বের করে নেয়ার জন্য হ্যান্ড ওভার করার পর অ্যারাইভাল ইমিগ্রেশনের কার্যক্রম শুরু করেন। কফিশপ এরোসের স্টাফ জাভেদ এসময় গোল্ডবারগুলি নিয়ে বের হবার চেষ্টা করলে কাস্টমস চ্যানেলের পর বেলা ১২টায় তাকে আটক করে এয়ারপোর্ট এপিবিএন গোয়েন্দা দল। এরপর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে স্বর্ণ পাচার চেষ্টায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এবং যাত্রীর পরিচয়ও নিশ্চিত করে।’
জিয়াউল হক বলেন, ‘পরে যাত্রীও কাস্টমস গ্রিন চ্যানেল অতিক্রম করলে তাকে আটক করা হয়। এসময় দুজনেই যোগসাজশে স্বর্ণ পাচারের চেষ্টার কথা স্বীকার করেন। পরবর্তীতে তাদের তল্লাশি করে ৫টি গোল্ড বার এবং ৯৯ গ্রাম স্বর্ণালংকারসহ মোট ৬৭৯ গ্রাম স্বর্ণ পাওয়া যায়।’
জাভেদ জানান, প্রতিটি গোল্ড বার পাচারে সহায়তায় তার ৫ হাজার টাকা করে পাওয়ার কথা ছিল। যাত্রী বেলায়েত মোল্লার পাসপোর্ট পরীক্ষা করে দেখা যায় তিনি একজন ফ্রিকোয়েন্ট ফ্লায়ার। প্রতিমাসেই তার দুবাই যাওয়া-আসার প্রমাণ রয়েছে।
যাত্রী বেলায়েত মাদারীপুরের কালকিনির এবং কফিশপ স্টাফ জাভেদ ঢাকার মিরপুরের অধিবাসী। উভয়ের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে বিমানবন্দর থানায় মামলা হয়েছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।