বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘ভাঙার সিদ্ধান্ত হওয়া মার্কেটগুলোতেই আগুন জ্বলছে’

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১৬:৩৪

ক্ষোভ প্রকাশ করে হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘আমরা পাকা মার্কেট চাই, তার অর্থ এই না আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে আমরা পাকা মার্কেট করবো। এটার কোনো যৌক্তিকতা নেই। সিটি করপোরেশন যদি মনে করে এই মার্কেট চলবে না, তাহলে ১৫ দিন আগে বলতো। আমরা বন্ধ করতে সহযোগিতা করতাম। এখনো যদি তারা মনে করে কোনো মার্কেট ভেঙে নতুন করে করবে, সমস্যা নাই।

গত রমজান মাসের পর রাজধানী ঢাকায় যতগুলো মার্কেটে আগুন লেগেছে, এর প্রায় অধিকাংশই সিটি করপোরেশনের মার্কেট। এ ছাড়া সিটি করপোরেশনের যে মার্কেটগুলো ভাঙার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, যে মার্কেটগুলো পাকা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে, সেই মার্কেটগুলোই আগুনে জ্বলছে।

বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন বৃহস্পতিবার বেলা ২টার দিকে আগুনে পোড়া মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘আমাদের এই মার্কেটগুলো কাঁচা মানের অটোমেটিক গড়ে ওঠা মার্কেট। এগুলো পরিকল্পিত মার্কেট না, সেটা আমরা সবাই জানি। অনেক আধুনিক মার্কেটেও অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকে না। সিটি করপোরেশনের যে মার্কেটগুলো ভাঙার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, যে মার্কেটগুলো পাকা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে, সেই মার্কেটগুলোই আগুনে জ্বলছে। আমরা এর আগেও বঙ্গমার্কেটসহ অন্যান্য মার্কেট দেখলাম, এবার দেখলাম কৃষি মার্কেট।’

ক্ষোভ প্রকাশ করে হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘আমরা পাকা মার্কেট চাই, তার অর্থ এই না আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে আমরা পাকা মার্কেট করবো। এটার কোনো যৌক্তিকতা নেই। সিটি করপোরেশন যদি মনে করে এই মার্কেট চলবে না, তাহলে ১৫ দিন আগে বলতো। আমরা বন্ধ করতে সহযোগিতা করতাম। এখনো যদি তারা মনে করে কোনো মার্কেট ভেঙে নতুন করে করবে, সমস্যা নাই।

‘কিন্তু দোকানদারদের দোকান বুঝিয়ে দিতে হবে, কতদিনে দেবেন সেটাও সেটাও বুঝতে হবে, দাম কেমন হবে সেটাও বুঝতে হবে। সিটি করপোরেশন বিল্ডিং করে এমন একটা দাম ধরবে, যেটা আমাদের খুদ্র দোকানিরা কিনতে পারবে না, এই ভয়টা আমাদের মধ্যে থাকে। এ কারণে আমরা মনে করি ভালো তদন্ত কমিটি দরকার।’

তিনি বলেন, ‘আগুন লাগলেই সিটি করপোরেশন একটা তদন্ত কমিটি করে এবং ফায়ার সার্ভিস তদন্ত শেষে বলে দেয়, শর্টসার্কিট থেকে আগুন লেগেছে। প্রত্যেক মার্কেটে শর্টসার্কিট থেকে আগুন লাগবে, আর সেই আগুন এত ভয়াবহ হবে, আর ফায়ার সার্ভিস যাদের আমরা এত প্রশংসা করি; কই তারা আমাদের কোন দোকান তো বাঁচাতে পারে না।

‘বেলা দুইটার সময়ও আগুন নেভে নাই। আমরা চাই এটার একটা শক্ত তদন্ত হওয়া দরকার। আমি উত্তর সিটি করপোরেশনের সিওকে বলেছি তদন্ত কমিটিতে একজন ব্যবসায়ী রাখেন। তাহলে অন্তত আমরা জানতে পারবো কেন এই আগুন লেগেছে।’

যেহেতু সিটি করপোরেশনের মার্কেট সেহেতু অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থায় তারা দায়িত্বের অবহেলা করছে কি না, এমন প্রশ্নে হেলাল বলেন, ‘অবশ্যই। যখন আগুনে আমাদের সব ধংস হয়ে যায়, আমরা যখন নিঃস্ব হই তখন কথা আসে এখানে অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না। এই মার্কেটের মালিক সিটি করপোরেশন। সিটি করপোরেশনের যেসব মার্কেটে আগুন লেগেছে, এই দায় তো তারা এড়াতে পারেন না। বেসরকারি কোথাও কিছু হলে মালিককে জেলে যেতে হয়, কিন্তু সিটি করপোরেশনের তো কিছু হয় না। তাদের কোন জবাবদিহি থাকে না।

‘আগুনের ঘটনাগুলো একই সময়ে ঘটছে এবং সব ধংস হচ্ছে। সব মার্কেটের বিদ্যুতের মেইন সুইস বন্ধ করে আমরা বের হয়ে যাই। সেখানে আবার শর্টসার্কিট থেকে কীভাবে আগুন লাগে।’

ফায়ার সার্ভিস জানায়, বুধবার ৩টা ৪৩ মিনিটে মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। খবর পেয়ে প্রথমে সাতটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়।

প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায় রাত ৩টা ৫২ মিনিটে। পরে ধাপে ধাপে ইউনিট বেড়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দেয় ফায়ার সার্ভিসের ১৭টি ইউনিট। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

এ বিভাগের আরো খবর