বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় জামিন রিজেন্টের সাহেদের

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১৫:০৩

এ মামলায় সাহেদের জামিন হলেও অন্য আইনে মামলা থাকায় তিনি কারামুক্তি পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন আইনজীবী আমিনুল ইসলাম।

অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় তিন বছর কারাদণ্ডপ্রাপ্ত রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ করিমকে ছয় মাসের জামিন দিয়েছে হাইকোর্ট।

বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানের হাইকোর্টের একক বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেয়।

আদালতে সাহেদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. আমিনুল ইসলাম ও সৈয়দ জাহাঙ্গীর হোসেন। আর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।

এ মামলায় সাহেদের জামিন হলেও অন্য আইনে মামলা থাকায় তিনি কারামুক্তি পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন আইনজীবী আমিনুল ইসলাম।

সাহেদের তিন বছর কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল শুনানির জন্য গত ৪ সেপ্টেম্বর গ্রহণ করে অর্থদণ্ড স্থগিত করে হাইকোর্ট। জামিন আবেদন শুনানির জন্য মুলতবি রাখে আদালত। বৃহস্পতিবার সেই আবেদনের শুনানি শেষে সাহেদকে জামিন দেয়া হয়।

সাহেদের বিরুদ্ধে গত ২১ আগস্ট ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭-এর বিচারক প্রদীপ কুমার রায় দেন। রায়ে তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। ৬০ কর্মদিবসের মধ্যে জরিমানার টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেয়ার নির্দেশ দেয় আদালত।

সাহেদের বিরুদ্ধে দুটি অভিযোগ গঠন করা হলেও ২০০৪ সালের দুদক আইনের ২৬ (২) ধারায় এ দণ্ড দেয়া হয়, তবে ২৭ (১) ধারায় অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় তাকে খালাস দেয়া হয়। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন সাহেদ।

২০২০ সালের ১৫ জুলাই সাহেদকে সাতক্ষীরা থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। এরপর তার নামে প্রতারণা, অনিয়মের নানা অভিযোগ সামনে আসতে থাকে। পরে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সাহেদ ও তার সহযোগীদের নামে একের পর এক মামলা হয়।

কারাগারে থাকাকালে ২০২০ সালের ৫ নভেম্বর সম্পদের হিসাব চেয়ে সাহেদকে নোটিশ পাঠায় দুদক। নোটিশে ২১ কার্যদিবসের মধ্যে তাকে সম্পদের বিবরণী জমা দিতে বলা হয়। বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে তিনি সম্পদ বিবরণী জমা না দেয়ায় অতিরিক্ত আরও ১৫ কার্যদিবস সময় দেয়া হয়। সাহেদ এরপরও তা জমা দেননি।

এরপর সম্পদের হিসাব না দেয়া ও অবৈধভাবে এক কোটি ৬৯ লাখ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০২১ সালের ১ মার্চ দুদকের উপপরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী বাদী হয়ে দুদকের ঢাকা জেলা সমন্বিত কার্যালয়-১-এ মামলা করেন।

গত বছরের ২ ফেব্রুয়ারি দুদক আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। এরপর ১৭ জুলাই সাহেদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয় আদালত। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করে।

এ মামলা ছাড়াও অস্ত্র আইনের একটি মামলায় শাহেদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা রয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর