দুর্নীতির মামলায় ১৩ বছরের সাজা মাথায় নিয়ে কারাবন্দি ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানকে জামিন দেয়নি চেম্বার আদালত।
মামলাটির আপিল শুনানির জন্য ২০ নভেম্বর দিন ঠিক করে দিয়েছে আদালত।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের চেম্বার আদালত বুধবার এ আদেশ দেয়।
আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার সাকিব মাহবুব ও নাজমুল হুদা। আর দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান।
হাইকোর্টের রায়ের নির্দেশনা অনুসারে গত ১০ সেপ্টেম্বর আমান উল্লাহ আমান বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এর বিচারক আবুল কাশেম।
দুদকের মামলায় গত ৩০ মে হাইকোর্ট আমানের ১৩ বছর ও তার স্ত্রী সাবেরা আমানের ৩ বছরের কারাদণ্ড বহাল রাখে। পরে তার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়।
এ রায়ের আলোকে প্রথমে আমানের স্ত্রী সাবেরা আমান আত্মসমর্পণ করেন। আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন। এরপর আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত থেকে তিনি জামিন পান।
২০০৭ সালের ৬ মার্চ বিএনপি নেতা আমান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক।
মামলায় ১৯৯২ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত আমান দম্পতির বিরুদ্ধে ৯ কোটি ৯৪ লাখ ৬৩ হাজার টাকার সম্পত্তি অবৈধভাবে অর্জনের অভিযোগ করা হয়। এর মধ্যে আমান জ্ঞাত আয়ের বাইরে ৩ কোটি ৩১ লাখ ৭৫ হাজার ৯ টাকা এবং সাবেরা আমান ৬ কোটি ৬২ লাখ ৮৮ হাজার টাকার সম্পত্তি অর্জন করেন।
এ মামলায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত আমানকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড এবং স্ত্রী সাবেরাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেয়। এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন তারা। ২০১০ সালের ১৬ আগস্ট আপিল মঞ্জুর করে তাদের খালাস দেয় আদালত।
দুদক সেই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে ২০১৪ সালের ২১ জানুয়ারি খালাসের রায় বাতিল করে হাইকোর্টে পুনঃশুনানির আদেশ দেয় আপিল বিভাগ। আপিল বিভাগের নির্দেশনা অনুসারে শুনানি করে বিচারিক আদালতের সাজা বহাল রেখে রায় দেয় হাইকোর্ট।