বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

উদ্বোধনের পরদিন জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত হবে বঙ্গবন্ধু টানেল

  • প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম   
  • ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১৫:১৭

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সেতু বিভাগের সচিব মনজুর হোসেন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল শুধু চট্টগ্রামের জন্য নয়, পুরো বাংলাদেশের জন্যই একটা গর্বের বিষয়। আগামী ২৮ অক্টোবর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এটা উদ্বোধনের জন্য তারিখ নির্ধারণ করেছেন। ইতোমধ্যেই সব কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এটার প্রিকমিশনিং, কমিশনিং থেকে শুরু করে নিরাপত্তার ব্যবস্থা যেগুলো, সেগুলো দেখা হয়েছে।’

নবনির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল আগামী ২৮ অক্টোবর উদ্বোধনের পরদিন জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সেতু বিভাগের সচিব মো. মনজুর হোসেন।

মঙ্গলবার সকালে নগরীর সার্কিট হাউজে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রস্তুতিমূলক সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।

তিনি বলেন, ‘আগামী ২৮ তারিখ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পরদিন চট্টগ্রামবাসী এই টানেল দিয়ে যাতায়াত করতে পারবেন।’

মনজুর হোসেন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল শুধু চট্টগ্রামের জন্য নয়, পুরো বাংলাদেশের জন্যই একটা গর্বের বিষয়। আগামী ২৮ অক্টোবর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এটা উদ্বোধনের জন্য তারিখ নির্ধারণ করেছেন। ইতোমধ্যেই সব কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এটার প্রিকমিশনিং, কমিশনিং থেকে শুরু করে নিরাপত্তার ব্যবস্থা যেগুলো, সেগুলো দেখা হয়েছে।’

টানেলের রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে সেতু সচিব বলেন, ‘টানেল উদ্বোধন করে দেয়ার পরও আমাদের কার্যক্রম চলমান থাকবে। যেমন ওএন্ডএম যেটা বলা হয় অপারেশন এন্ড মেন্টেইন্যান্স, এটা কিন্তু চলবে। টানেলর কাজ শুরু করার পর যে বিষয়গুলো বলা হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে ফাঁড়ি, ডাম্পিং স্টেশনের জন্যে জায়গা রয়েছে- যা করতে পারব বলে আশা করছি আমরা।

‘এর বাইরে অপারেশনের যারা রয়েছে, মেন্টেইন্যান্স যারা করবে তাদের কিন্তু নিজস্ব কিছু ভেহিকল থাকবে। রিস্কউ ভেহিকল, ইমার্জেন্সী ভেহিকল, রেকারের মত ভেহিকল। অন্যদের সাপোর্ট বা সবকিছু মিলিয়ে সমন্বয় করতে পারলে আশা করি যে পরবর্তীতে কোনো সমস্যা হবে না।’

টানেল ও তার আশেপাশের ট্রফিক ব্যবস্থাপনার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘পুলিশের একটা নির্দিষ্ট প্ল্যান থাকবে। সিডিএর পক্ষ থেকেও কিছু প্রস্তাব আছে, তারাও কিছু প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। টানেলের যে আরেকটা বড় লক্ষ্য রয়েছে, আমাদের কক্সবাজারেও বেশ কিছু বড় প্রকল্প হচ্ছে। ভবিষ্যতে কিন্তু আগামী দু-চার বছরের মধ্যে সে প্রকল্পে যাতায়াতের জন্য টানেলটা খুব ব্যবহার করা হবে। সেক্ষেত্রে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় পুলিশের আলাদা প্যান রয়েছে। তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে আমরা সব কাজ করতে চাই।’

যানবাহন চলাচলের গতি ও ধরণ বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কোন ধরনের যানবাহন চলাচল করতে পারবে নিধারর্ণ করা আছে, টোলও নির্ধারণ করা হয়ে গেছে। আপাতাত ডিজাইন অনুযায়ী ঘন্টায় ৮০ কিলোমিটার বেগে যান চলতে পারবে। কনসেপ্টটা তো আমাদের জন্য নতুন, সে অনুযায়ী কিন্তু এটার কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। ভেতরে যদি কোনো দুর্ঘটনা ঘটে কীভাবে রেস্কিউ করতে হবে সে জিনিসগুলো অন্য যে কোনো ব্রীজ বা সড়কের চেয়ে সম্পূর্ণ আলাদা। এ জিনিসটা নিশ্চিত করতে হচ্ছে, টানেলও নিরাপদ থাকবে, টানেল যারা ব্যবহার করবে তারাও নিরাপদ থাকবে। সেই ধারণা থেকে এই মুহূর্তে টু-হুইলার বা থ্রী-হুইলারের জন্য এটা বোধহয় নিরাপদ হবে না।’

ট্রায়ালরান নিয়ে তিনি জানান, ‘আমি বলেছিলাম ইলেক্ট্রোমেকানিক্যাল কাজটা হয়ে যাওয়ার পরই প্রিকমিশনিং এন্ড কমিশনিং, সেফটি ইস্যুজগুলো দেখা। এগুলো সবই ট্রায়ালরানের অন্তর্ভুক্ত।’

এ বিভাগের আরো খবর