বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অধিকারের আদিলুর ও এলানের মামলার রায় ১৪ সেপ্টেম্বর

  • প্রতিনিধি, জবি   
  • ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ২০:১১

সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী জুয়েল মিয়া নিউজবাংলাকে জানান, ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াতের আদালতে বৃহস্পতিবার মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু রায় প্রস্তুত না হওয়ায় ১৪ সেপ্টেম্বর রায় ঘোষণার নতুন দিন ঠিক করেছে আদালত।

মানবাধিকার সংগঠন অধিকার-এর সম্পাদক আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক নাসিরুদ্দিন এলানের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলার রায় ঘোষণার তারিখ ফের পেছানো হয়েছে। ১৪ সেপ্টেম্বর রায় ঘোষণার নতুন তারিখ ঠিক করেছে আদালত।

রাজধানীর মতিঝিলে শাপলা চত্বর থেকে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের সরিয়ে দেয়ার অভিযানে মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগে ওই মামলা করা হয়। এটি ছিল তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে প্রথম মামলা।

সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী জুয়েল মিয়া নিউজবাংলাকে জানান, ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াতের আদালতে বৃহস্পতিবার মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু রায় প্রস্তুত না হওয়ায় ১৪ সেপ্টেম্বর রায় ঘোষণার নতুন দিন ঠিক করেছে আদালত।

এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘এই মামলার শুনানিতে ২২ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন। তাদের মাধ্যমে আমরা মামলাটি যথাযথভাবে প্রমাণ করতে পেরেছি। এখন রায়ের অপেক্ষায় আছি।’

অপরদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী রুহুল আমিন ভূঁইয়া বলেন, ‘রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের কারও দোষ প্রমাণ করতে পারেনি। সুতরাং অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক নাসিরুদ্দিন এলান দুজনই এই মামলায় খালাস পাবেন বলে আমরা বিশ্বাস করি।’

এর আগে ২৪ আগস্ট রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ৭ সেপ্টেম্বর দিন ঠিক করেন ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত। এদিন জামিনে থাকা দুই আসামি আদালতে উপস্থিত হন।

২০১৩ সালের ৫ মে রাতে মতিঝিলে শাপলা চত্বর থেকে হেফাজতে ইসলামের কর্মীদের সরিয়ে দিতে অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী। ওই ঘটনায় বহু নেতাকর্মী মারা গেছেন বলে দাবি করে হেফাজতে ইসলাম। যদিও এ দাবির পক্ষে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য-প্রমাণ দিতে পারেনি দলটি।

একই বছরের ১০ জুন মানবাধিকার সংগঠন অধিকার দাবি করে যে ওই ঘটনায় ৬১ জন মারা গেছেন। এই তালিকা মিথ্যা উল্লেখ করে গুলশান থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন ডিবির উপ-পরিদর্শক (এসআই) আশরাফুল ইসলাম। পরে সেটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়।

একই বছরের ১০ জুলাই তালিকাটি চেয়ে অধিকারকে চিঠি দেয় তথ্য মন্ত্রণালয়। কিন্তু তালিকা দিতে অস্বীকৃতি জানায় অধিকার। পরে ১০ আগস্ট গ্রেপ্তার হন অধিকার সম্পাদক আদিলুর রহমান খান। পরদিন সংগঠনটির কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে কম্পিউটারে পাওয়া যায় ৬১ জনের নামের তালিকা। এ নিয়ে তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ৪ সেপ্টেম্বর ৩২ জনকে সাক্ষী করে আদিলুর ও এলানের বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়া হয়।

২০১৪ সালের ৮ জানুয়ারি শুরু হয় মামলার বিচার কাজ। কিন্তু উচ্চ আদালতে আসামিদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তিন বছরের জন্য স্থগিত হয়ে যায় বিচার কাজ। পরে ২০১৭ থেকে শুরু হয় শুনানি। ২২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্য দিয়ে মামলার শুনানি শেষ হয়। ২০১৩ সালে দায়ের হওয়া এই মামলার আসামি আদিলুর ও এলান জামিনে আছেন।

এ বিভাগের আরো খবর