শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগের মামলায় নোবেলজয়ী ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে নতুন করে ট্রাইবুন্যালের প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলীকে নিয়োগ দেয়াকে কেন্দ্র করে এ মামলা থেকে নিজেকে প্রত্যাহারের ঘোষণা বাতিল করেছেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
দুপুরে এ মামলা থেকে নিজেকে প্রত্যাহারের কথা বললেও রাতে তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছেন বলে নিউজবাংলাকে জানান তিনি।
এ আইনজীবী বলেন, ‘রাতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শক কর্তৃপক্ষ আমার সঙ্গে কথা বলেছেন, অনেক আলোচনা হয়েছে। তারা এ মামলায় থাকতে আমাকে অনুরোধ করেছেন। এজন্য আমার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছি। আমি এ মামলায় থাকব। মঙ্গলবার মামলার শুনানিতে অংশ নেব।’
এর আগে সোমবার দুপুরে সিনিয়র আইনজীবী খুরশীদ আলম খান জানিয়েছিলেন, অন্য আইনজীবী নিয়োগ দেয়ায় তিনি শুনানিতে যাবেন না।
ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় আইনজীবী খুরশীদ আলম খানের পাশপাশি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলীকে নিয়োগ দেয়া হয়।
এ বিষয়ে খুরশীদ আলম খান বলেন, ‘বিষয়টি গতরাতে আমাকে একজন জানিয়েছেন। আমি কল-কারখানা প্রতিষ্ঠানকে জানিয়েছি যে, আপানারা তো আমাকে নিয়োগ দিয়েছেন, আমি আপানাদের মামলা নিয়ে হাইকোর্ট, আপিল বিভাগ এবং শ্রম আদালতেও যাচ্ছি। এখন দেখছি নতুন একজন আইনজীবী নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আমি বলেছি, আপানারা যে কোনো একজনকে দেন। একই মামলায় দুইজন আইনজীবী নিয়োগ দেয়া আমার কাছে সমীচীন মনে হচ্ছে না। সেটা আমার জন্যও সমস্যা হয়।’
তিনি বলেন, ‘আমি হাইকোর্ট, আপিল বিভাগ ফেলে আপনাদের মামলায় যাই। তখন তারা আমাকে জবাবে জানিয়েছেন, আপনি আমাদের আইনজীবী। আমরা ওনাকে নিতে চাইনি। কারও হয়ত রিকোয়েস্টে তাকে রাখা হয়েছে। আমি বললাম- না, আপনাদের একটা কথা বলতে হবে, আপনারা কাকে রাখবেন? একজনকে রাখেন। কারণ এতে আমার সমস্যা হয়। আমি তো আমার মতো করে মামলা রেডি করি, আইনি ব্যাখ্যা রেডি করি। এখানে আরেকজন আসলে সেখানে তারও একটা চিন্তা-ভাবনা থাকে। তখন মামলাটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এজন্য বলেছি- আপনারা একজনকেই রাখেন। নাহলে আমার পক্ষে মামলা পরিচালনা করা সম্ভব নয়।’
তিনি বলেন, ‘একাধিক আইনজীবী থাকতে পারে, কিন্তু এই মামলা আমি যেভাবে সাজিয়ে নিয়ে আসছি, সেখানে হঠাৎ করে সাক্ষ্য চলাকালে আরেকজনকে নিয়ে আসায় এটা ওনার জন্যও বিব্রতকর।’
এ মামলা হাইকোর্টে আসলে তখন আপনি শুনানি করবেন কি না- প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সেটা তখন দেখা যাবে।’