বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

যুবলীগ কর্মী হত্যার জেরে মুক্তাগাছায় ১৪৪ ধারা

  • প্রতিবেদক,ময়মনসিংহ   
  • ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১৭:২১

মুক্তাগাছার ইউএনও একেএম লুৎফর রহমান বলেন, ‘যুবলীগ কর্মী হত্যার ঘটনায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষ পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘোষণা করে। এসব কর্মসূচি থেকে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে। ফলে পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।’

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় এক যুবলীগ কর্মীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় পৌর শহর জুড়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

পরিস্থিতি সামলাতে সোমবার সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত মুক্তাগাছা পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছেন ইউএনও একেএম লুৎফর রহমান।

তিনি বলেন, ‘যুবলীগ কর্মী হত্যার ঘটনায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষ পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘোষণা করে। এসব কর্মসূচি থেকে যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে। ফলে পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।’

এ বিষয়ে মুক্তাগাছা থানার ওসি মো. আব্দুল মজিদ বলেন, ‘পৌর শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষকে কর্মসূচি করতে দেয়া হয়নি। পুলিশও সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘হত্যার ঘটনার পর তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তার করতে চেষ্টা চলছে।’

গত ২৮ আগস্ট রাত পৌনে ৯টার দিকে শহরের আটানী বাজারে একটি চায়ের দোকানে বসে যুবলীগ কর্মী আসাদুজ্জামান আসাদ, নাহিদসহ কয়েকজন মিলে একসঙ্গে চা পান করছিলেন। এসময় ৩০ থেকে ৩২ জনের একটি দল অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে তাদের চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে। তারা আসাদকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় ফেলে রেখে চলে যান।

পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতেই তার মৃত্যু হয়।

হত্যার ঘটনার পরদিন বিকেলে হত্যার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে নিহতের মরদেহ মহাসড়কে রেখে বিক্ষোভ করেন নিহতের স্বজন ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। পরে ৩১ আগস্ট বিকেলে ময়মনসিংহ প্রেস ক্লাবে আসাদুজ্জামান আসাদ হত্যায় অংশগ্রহণকারী ও পরিকল্পনাকারীদের চিহ্নিত করে বিচারের দাবি জানান নিহতের স্বজন ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা।

ওই দিন রাতে নিহত আসাদুজ্জামান আসাদের ছেলে তাইব হাসান আনন্দ বাদী হয়ে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সদস্য মাহাবুবুল হাসান মনিসহ ৩০ জনের নামে মুক্তাগাছা থানায় মামলা করেন।

স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা জানান, মুক্তাগাছা উপজেলায় আওয়ামী লীগ দুটি ধারায় বিভক্ত। একটি গ্রুপের নেতৃত্বে আছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল হাই আকন্দ। তার সঙ্গে দলের তৃণমূলের বড় একটি অংশ রয়েছে।

অন্য গ্রুপে নেতৃত্ব দেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। তার সঙ্গে রয়েছেন পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন সরকার। দু পক্ষের দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে।

গত পাঁচ মাসে বিভিন্ন যানবাহন স্ট্যান্ডে টাকা তোলা নিয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, মারামারিসহ নানা ঘটনায় একাধিক মামলা হয়েছে।

এর আগে ৭ জুলাই মারধরের শিকার হন আসাদ। এ সময় যুবলীগ সভাপতি মনিরের কয়েকজন অনুসারীর বিরুদ্ধে তিনি মামলা করেন। আসাদের বিরুদ্ধেও তখন অন্য পক্ষ মামলা করেন।

এ বিভাগের আরো খবর