শিক্ষার্থীদের ভর্তির সময় শুধু এসএসসি সনদেই চার বছর মেয়াদি মৎস্য ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তি করা হলেও চাকরির বিজ্ঞপ্তিতে ভিন্ন শর্ত জুড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
কিশোরগঞ্জ মৎস্য ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউটের সামনের সড়কে রোববার দুপুরে এক মানবন্ধন কর্মসূচিতে এমন অভিযোগ করেন প্রতিষ্ঠানটির সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা জানান, ভর্তির সময় শুধু এসএসসি সনদেই তাদের চার বছর মেয়াদি মৎস্য ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তি করা হয়েছে। অথচ সম্প্রতি চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে জীববিজ্ঞানসহ এসএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগে উত্তীর্ণ হওয়ার শর্ত দেওয়া হয়েছে।
কিশোরগঞ্জ মৎস্য ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউট থেকে চার বছর মেয়াদি কোর্স সম্পন্ন করা সাইফুর রহমান খান জানান, ব্যবসায়িক শিক্ষা শাখা থেকে মৎস্য ডিপ্লোমায় ভর্তি হওয়ার আগে বিজ্ঞপ্তিতে শুধু এসএসসি পাস দেখে ভর্তি হন তিনি। অথচ ডিপ্লোমা কোর্স শেষে বলা হয় এসএসসিতে জীববিজ্ঞান থাকতে হবে।
ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘ডিপ্লোমাকে এভাবে মূল্যহীন করার কারণ কী? আমাদের ডিপ্লোমা শেষে ছয়-সাত মাস ধরে ঘুরছি। উচ্চশিক্ষার ইচ্ছা থাকলেও সরকারিভাবে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে পারছি না।’ বৈপরিত্বমূলক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ন হয়েছে বলে উল্লেখে করেন তিনি। এ ছাড়া ডিপ্লোমা শেষে সরকারিভাবে উচ্চশিক্ষার সুযোগ দাবি করেন এ শিক্ষার্থী।
মাহমুদা আক্তার নাবা নামের আরেক শিক্ষার্থীর ভাষ্য, ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে যেহেতু শুধু এসএসসি পাস চাওয়া হইছে, সেহেতু চাকরি ক্ষেত্রেও শুধু এসএসসি পাসের পাশাপাশি মৎস্য ডিপ্লোমা যোগ্যতা চেয়ে ১১তম ও ১২তম গ্রেডের সব টেকনিক্যাল পদে একক নিয়োগ দিতে হবে।
মানববন্ধনে সাইফুর রহমান খান, সাইফুল্লাহ সামী নাবিন, মোস্তাফিজুর রহমান রূপক, মাহমুদা আক্তার নাবা, শেখ সুমনসহ অনেকে বক্তব্য দেন।
এ বিষয়ে জানতে কিশোরগঞ্জ মৎস্য ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউটের প্রিন্সিপাল ড. মো. মনিরুজ্জামানের মোবাইলে একাধিকবার কল করা হলেও সেগুলো রিসিভ হয়নি।
গত ২৯ আগস্ট মৎস্য অধিদপ্তর থেকে ৭৩২ পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তির ১১ ও ১৪ নম্বর ক্রমিকের যথাক্রমে তথ্য সংগ্রহ সহকারী ও হ্যাচারি টেকনিশিয়ান পদে প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা ডিপ্লোমা এবং জীববিজ্ঞানসহ এসএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগে উত্তীর্ণ হতে হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।