নাটোরের লালপুরে আওয়ামী লীগ নেতা ওসমান গনিকে কুপিয়ে ও হাত পায়ের রগ কেটে হত্যার ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
প্রাণ হারানো ওসমান গনির ভাই কুতুব উদ্দিন রোববার রাতে ২৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন। সেই মামলায় গ্রেপ্তার পাঁচজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
ওসমান গনি কদিমচিলান ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
লালপুর থানার ওসি উজ্জল হোসেন জানান, রোববার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে চা খেতে যান ওসমান গনি। ওই সময় কয়েকজন ধারালো অস্ত্র হাতে চায়ের দোকানে গিয়ে ওসমানকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পায়ের ও হাতের রগ কেটে দেন। পরে তার মৃত্যু নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তাকে কোপাতে থাকেন তারা।
তিনি জানান, ওই সময় ওসমান গনিকে বাঁচাতে কাউকে কাছে যেতে দেননি হামলাকারীরা। পরে মৃত্যু নিশ্চিত করে তারা ঘটনাস্থল ছাড়েন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত সংগ্রহ করে। পরে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
নিহত ওসমান গনি কদিমচিলান ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক হত্যা মামলার প্রধান অভিযুক্ত ছিলেন। সম্প্রতি তিনি জামিন নিয়ে বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। তারই জেরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
পুলিশ রোববার রাতেই অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।