প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন মাইলফলক; যা যানজট নিরসনে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। এটি ঢাকা শহরের মানুষের জন্য নতুন উপহার।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের একাংশের উদ্বোধন উপলক্ষে শনিবার আগারগাঁওয়ে পুরনো বাণিজ্য মেলা মাঠে আয়োজিত সুধী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘উন্নয়নের একটি নতুন উপহার আজকে আপনাদের দিয়ে যাচ্ছি। এটি যোগাযোগের ক্ষেত্রে একটি নতুন মাইলফলক। আজ ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের কাওলার দক্ষিণ প্রান্ত থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত অংশের উদ্বোধন করা হয়েছে।’
এটি এয়ারপোর্ট, কুড়িল, বনানী, মহাখালী, তেজগাঁও, ফার্মগেট, মগবাজার ও কমলাপুর এলাকার যানজট নিরসন করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
সরকার প্রধান বলেন, ‘এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ঢাকার যানজট নিরসনে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। এর মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থার দ্রুত উন্নতি হবে। মানুষের কর্মঘণ্টা নষ্ট হবে না।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রভূত উন্নয়ন করেছে। ২০০৮ সালে সরকার গঠন করার পর যেভাবে কাজ করেছে, তার ফল হিসেবে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। ‘১৯৭৫ থেকে ’৯৬ সালের জুন মাস পর্যন্ত যারা ক্ষমতায় ছিল তারা দেশকে কিছুই দিতে পারেনি। তারা কেবল নিজেদের আখের গুছিয়েছে। এদেশের মানুষের জন্য অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসার সুযোগ তারা দিতে পারেনি।
‘বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য তারা গড়তে চায়নি। স্বাধীন দেশ হিসেবে আত্মমর্যাদা নিয়ে বিশ্ব দরবারে দাঁড়াবে বাংলাদেশ- এটা তারা কখনও চায়নি।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘২১ বছর পর ক্ষমতায় আসি আমরা। এরপর জনগণের সেবা করতে শুরু করি। বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য কীভাবে পরিবর্তন করব সেই কাজ করার সুযোগ পেয়েছিলাম মাত্র পাঁচ বছর। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, রাস্তাঘাট- সবকিছু আমরা উন্নত করেছিলাম। এরপর আবার চক্রান্ত, ২০০১ থেকে ২০০৮। ২৯টি বছর যারা ক্ষমতায় ছিল, কী দিয়েছে বাংলাদেশের মানুষকে তারা? কিছুই দিতে পারেনি।’
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ-সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানান শেখ হাসিনা। প্রকল্পের বাকি কাজ শেষ করতেও সবার সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে সুধী সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সেতু সচিব মো. মনজুর হোসেন প্রমুখ।