বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হত্যায় জিয়া জড়িত না থাকলে মোশতাকের সাহস হতো না: প্রধানমন্ত্রী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ৩০ আগস্ট, ২০২৩ ২১:২৪

শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে খুনি জিয়াউর রহমান যে জড়িত ছিলেন এটা সম্পূর্ণভাবে প্রমাণিত। পাপ কাউকে ছাড়ে না। নিজের লোকদের হাতেই খুন হয়েছেন। সংসদ ভবন এলাকায় যে কবরটা আছে, সেখানে জিয়ার লাশ নাই। বিএনপি নেতাকর্মীরা কার কবরে ফুল দিচ্ছে তারা সেটা জানে না।’

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সামরিক শাসক জিয়াউর রহমানও জড়িত ছিলেন। জিয়া জড়িত না থাকলে মোশতাক কখনোই সাহস করতেন না।’

বুধবার জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর আওয়ামী লীগ যৌথভাবে এ কর্মসূচির আয়োজন করে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘খুনি জিয়া যে জড়িত ছিলেন এটা সম্পূর্ণভাবে প্রমাণিত। পাপ কাউকে ছাড়ে না। জিয়াউর রহমানের পরিণতিও ভালো হয়নি। নিজের লোকদের হাতেই নৃশংসভাবে খুন হয়েছেন। তার লাশেরও হদিস নেই।

জেনারেল এরশাদ একটি বাক্স এনে জনগণকে ধোঁকা দিয়ে সংসদ ভবনের জায়গায় মাটি দিয়ে রেখে দিয়েছেন। সেটাও অবৈধ স্থাপনা। বিএনপি নেতাকর্মীরা সেখানে ফুল দেয়। কাকে দিচ্ছে ফুল তারা কি সেটা জানে? জানে না।’

তিনি বলেন, ‘জেনারেল এরশাদ স্বয়ং বলে গেছেন, জিয়ার লাশ তো পাওয়া যায়নি। কারণ তার লাশ খালেদা জিয়া দেখেননি। ছেলে তারেক রহমান ও কোকো দেখেনি। পরিবার-পরিজন ও আত্মীয়-স্বজন কেউ দেখেনি।’

সরকার প্রধান বলেন, ‘১৫ আগস্টে শুধু একটা পরিবারকে হত্যা করা হয়নি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, স্বাধীনতার মূল্যবোধকে হত্যা করা হয়েছে। সেই খুনিদের বিচার যাতে না হয় সে জন্য অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছিল। খুনিদের শুধু বিচার থেকে রেহাই দেয়া হয়নি, পুরস্কৃত করা হয়েছিল। খুনিদের দূতাবাসের চাকরি দেয়া হয়। এই খুনিরা যখন দূতাবাসের চাকরি পায়, অনেক দেশ নেয়নি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যাদের জন্ম হয়েছে হত্যা-ক্যু-ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে, যাদের যাত্রা শুরু হয়েছে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে, তাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা শোভা পায় না। তাদের কিছু প্রভু আছে, তারা একই সঙ্গে সুর মেলায় বাংলাদেশে নাকি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতেই হবে।

‘তাদের কাছে প্রশ্ন- জিয়ার হ্যাঁ-না ভোট, খালেদার ১৫ ফেব্রুয়ারি মার্কা নির্বাচনের সময় গণতন্ত্র কোথায় ছিল? জিয়া, এরশাদ ও খালেদা জিয়ার নির্বাচন তো আমরা দেখেছি। আজ যারা বাংলাদেশে টর্চলাইট দিয়ে নির্বাচন খুঁজছেন, তখন তারা কোথায় ছিলেন? অন্ধ ছিলেন? তখন তো তাদের সোচ্চার দেখিনি! আমরা তো বিচার চেয়ে পাইনি। শেখ রেহানার পাসপোর্টটা পর্যন্ত জিয়া দেননি। রেহানা কি এদেশের নাগরিক ছিল না? তার মানবাধিকার ছিল না?’

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আসলে বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে অনেক দেশ চায়, এদেশে এমন সরকার আসুক যারা তাদের পদলেহন করবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ রক্ত দিয়ে এদেশে গণতন্ত্র এনেছে। আমাদের হাতে গণতন্ত্র সুরক্ষিত না? সুরক্ষিত মিলিটারি ডিক্টেটর আর দোসরদের হাতে? যারা শ্রমিকের অধিকার কেড়ে নেয়, কৃষকদের গুলি করে হত্যা করে, তারা এখন গণতন্ত্রের ধ্বজাধারী। কিছু বুদ্ধিজীবী আছে যারা বুদ্ধি বেচে জীবিকা নির্বাহ করে, তারাও তাদের পক্ষে কথা বলে।’

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ইঙ্গিত করে আওয়ামী লীগ প্রধান বলেন, ‘১৫ আগস্ট তো অনেকেরই জন্মদিন। কেউ কি পালন করে? কত বড় অমানুষ হলে জাতি যেদিন শোক দিবস পালন করে সেদিন তিনি জন্মদিন পালন করেন! কতটা অমানবিক হলে শোক দিবসকে জন্মদিন বানিয়ে উৎসব করতে পারে।

‘খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর অকথ্য নির্যাতন করেছেন। অনেককে ধরে কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে কেউ বলতে পারে না। একইভাবে জিয়াউর রহমানও নির্বিচারে হাজার হাজার সেনা অফিসার হত্যা করেছেন। তাদের লাশও গুম করা হয়েছে। নিহতদের পরিবার এখনও লাশ খুঁজে বেড়ায়। কেঁদে ফেরে তাদের স্বজনদের খোঁজে। যখনই বিএনপি ক্ষমতায় এসেছে, খুন ও গুম করেছে। জনগণের ভাগ্য তারা পরিবর্তন করতে পারেনি। তারা জনগণের ভোট নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছিল। ভোট নিয়ে প্রহসন করেছে।’

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন সংগঠনের সহ-সভাপতি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ফজলে নূর তাপস, উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সাদেক খান প্রমুখ।

এ বিভাগের আরো খবর