দুই বিচারকের পদত্যাগ দাবি করে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি এবার সুপ্রিম কোর্ট অঙ্গনের বাইরে গিয়ে পালন করেছে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। বুধবার দুপুরে এই কর্মসূচি পালন করেন তারা।
বিএনপির ৭ আইনজীবীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ শুনানির জন্য ১৯ অক্টোবর দিন ঠিক করে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে জমায়েত, মিছিল-সমাবেশ করার ক্ষেত্রে উচ্চ আদালতের রায়ের নির্দেশনা কঠোরভাবে মেনে চলার নির্দেশ দেয় আপিল বিভাগ।
এই আদেশের কয়েক ঘণ্টা পরই কালো পতাকা মিছিলের পর সমাবেশ করেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। এর আগে সমাবেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের নিচে করলেও এদিন কোর্ট অঙ্গনের বাইরে গিয়ে কর্মসূচি পালন করা হয়।
বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা কালো পাতাকা মিছিলের জন্য প্রথমে সমিতির ভবনের নিচে জমায়েত হন। এরপর তারা সুপ্রিম কোর্ট মাজার গেট পেরিয়ে মিছিল শুরু করেন। মিছিলটি জাতীয় ঈদগাহ মাঠের পাশের রাস্তা ধরে কদম ফোয়ারা হয়ে বার কাউন্সিল সংলগ্ন সুপ্রিম কোর্ট গেটের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে গেটের এক পাশে সমাবেশ করেন তারা।
মিছিলে নেতৃত্ব দেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ও বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। সঙ্গে ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, রুহুল কুদ্দুস কাজল, ব্যারিস্টার আব্দুল জব্বার ভুইয়া ও গাজী কামরুল ইসলাম সজলসহ অনেকে। সমাবেশে বক্তারা দুই বিচারকের পদত্যাগ দাবি করে বক্তব্য দেন।
১৫ আগস্ট সুপ্রিম কোর্ট আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠানে বিচারকদের ‘শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ’ উল্লেখ করে বক্তব্য দেন আপিল বিভাগের একজন বিচারক। ওই অনুষ্ঠানেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের দৌড়ঝাঁপ, হস্তক্ষেপ নিয়ে সমালোচনা করেন আপিল বিভাগের আরেক বিচারক।
এরপর থেকে ওই দুই বিচারকের পদত্যাগ দাবি করে কর্মসূচি পালন করে আসছেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। ২৭ আগস্ট জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে। সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের দক্ষিণ হলে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলন থেকে আপিল বিভাগের দুই বিচারককে বিচারকাজ থেকে সরাতে প্রধান বিচারপতিকে অনুরোধ জানানো হয়। এরপর ২৯ আগস্ট তারা কালো পতাকা হাতে মিছিল করেন।