ঢাকার সাভারে মোবাইল চুরি নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আকাশ মৃধা নামের এক যুবক নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও তিনজন।
মঙ্গলবার বিকেলে পৌর এলাকার আড়াপাড়া নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।
২৫ বছর বয়সী আকাশ মৃধা কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী থানার ভালুকাপাড়া এলাকার আব্দুল হালিম মৃধার ছেলে। তিনি পেশায় বাসচালকের সহকারী ছিলেন। বাবা-মাকে নিয়ে আড়াপাড়া এলাকায় থাকতেন আকাশ।
স্থানীয়রা জানান, সোমবার রাতে আড়াপাড়া এলাকায় পপি নামের এক মহিলার বাসায় ডিজে পার্টির আয়োজন করে স্থানীয় কয়েকজন যুবক। ওখানে একটি মোবাইল হারানোর ঘটনা ঘটে। মোবাইলটি স্থানীয় জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলের। মোবাইল চুরির অভিযোগ এনে দুই যুবককে মারধর করেন তিনি। ওই সময় উপস্থিত যুবকদের মধ্যে দুই গ্রুপ হয়ে সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে উভয় পক্ষ পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সটকে পড়ে।
তবে মঙ্গলবার সকাল থেকে আবার ছুরি, দা ও লাঠিসোটা নিয়ে উভয় পক্ষ দফায় দফায় সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে একজন নিহত ও উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হয়।
আকাশের বন্ধুর মা দাবি করে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নারী বলেন, ‘ডিজে পার্টি থেকে নয়ন ও প্রান্ত নামে দুই যুবককে মোবাইল চুরির অভিযোগে প্রথমে মারধর করে জাহাঙ্গীর ও তার স্ত্রী। পরবর্তীতে সেখানে দুটি গ্রুপের মধ্যে ধ্বস্তাধ্বস্তির ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে সবাই চলে যায়। পরে অন্য গ্রুপের হওয়ায় জাহাঙ্গীরের শ্যালক মামুনের নেতৃত্বে ২০-২৫ জন যুবক আজ সকালে আমার ছেলেকে মারধর করে। মারধরের প্রতিবাদ করায় ওরা আকাশকে কুপিয়ে মেরে ফেলল।’
এ বিষয়ে জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘আমার ছেলের মোবাইল ছিনতাই করার প্রতিবাদ করায় ওরা আমার শ্যালক মামুনসহ ওর দুই বন্ধুকে কুপিয়ে আহত করেছে। ওদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।’
সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রাশিদ বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি মোবাইল চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আকাশ নামে একজন নিহত হয়েছে। আমরা ঘটনাটির তদন্ত করছি। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।’
এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।