২০২২ সালের ২৯ অক্টোবর ঝালকাঠির রাজাপুর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা হয়। ভুক্তভোগীর মা জোৎস্না বেগম নিজেই মেয়ে ধর্ষনের শিকার হয়েছে অভিযোগ করে বাদী হয়ে রাজাপুর থানায় মামলাটি করেন।
ওই মামলার দুই আসামির মধ্যে রাজাপুর উপজেলা সদরের কৈবর্তখালী এলাকার মৃত আনেচ মোল্লার ছেলে ২৭ বছর বয়সী মো. আলী হোসেন মোল্লা ঘটনার পরপরই গ্রেপ্তার হয়। কিন্তু অধরা থেকে যায় অপর আসামি একই এলাকার মো. শাহ আলম মীরের ছেলে ২২ বছরের ফুহাত মীর। ঘটনার পর থেকে গত আট মাস ধরে কোনো হদিস নেই তার।
বর্তমানে জেলে থাকা আলী হোসেন উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে এলাকায় এসে বাদীকে ‘দেখিয়ে দিবে’ বলে লোক মারফত হুমকি দিচ্ছে বলেও অভিযোগ মামলার বাদী জোৎস্না বেগমের।
মামলার এজাহারে বাদী জোৎস্না বেগম উল্লেখ করেন, তার স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে বিয়ের দাবিতে প্রায়ই উত্যক্ত করত আলী হোসেন মোল্লা নামের এক যুবক। বাড়ির কাছেই আনোয়ারা খাতুন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণিতে অধ্যায়নরত তার মেয়েকে স্কুলে যাতায়াতের পথে আলী একাধিকবার হুমকি দিয়েছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করেন তিনি। গত বছরের ২৯ অক্টোবর আলী হোসেন এবং ফুহাত মীর মধ্যরাতে তাদের বাড়িতে ঢুকে তার মেয়েকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগে জানান তিনি।
গণমাধ্যমকর্মীদের জোৎন্সা বলেন, ‘ঘটনার রাতে ঘরের জানালার কাঠের শিক কেটে আলী হোসেন এবং ফুহাত মীর ঘরে প্রবেশ করে আমার গলায় চাকু ধরে আমার মেয়ের হাত-পা বেঁধে পালাক্রমে ধর্ষণ করে চলে যায়। এ ঘটনায় আমি পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার ও তার উপযুক্ত শাস্তি চাই।’
এ ব্যাপারে রাজাপুর থানার ওসি পুলক চন্দ্র রায় বলেন, ‘মামলার পরপরই প্রধান অভিযুক্ত আলী হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছি। সে বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছে। ফেরারী আসামি ফুহাতকে গ্রেপ্তারে কাজ করছে পুলিশ। আসামি ফুহাত প্রযুক্তিগত কোনো ডিভাইস ব্যবহার না করায় তার অবস্থান শনাক্তে বিলম্ব হচ্ছে।’