বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বয়লারের গরম পানিতে ঝলসে গেল শ্রমিকের শরীর

  • প্রতিনিধি, দিনাজপুর   
  • ২৮ আগস্ট, ২০২৩ ২২:৪৪

স্থানীয় বাসিন্দা নয়ন ইসলাম বলেন, ‘এই মিলে এর আগেও এ ধরনের ঘটনা কয়েকবার ঘটেছে। মিলের পেছনে গরম ছাইগুলো ফেলে। গরম ছাইয়ের কারণে অনেকের পা পুড়ে গেছে। এসব বিষয়ে প্রতিবাদ করলে তারা আমাদের নানাভাবে হয়রানি করে।’

দিনাজপুর শহরের একটি অটো রাইস মিলের বয়লারের গরম পানিতে ঝলসে গেছে সুমন নামে এক শ্রমিক। গুরুতর আহত শ্রমিক সুমনকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।

সোমবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে দিনাজপুর সদর উপজেলার এক নম্বর চেহেলগাজী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রাজবাড়ী কাটাপাড়ায় অবস্থিত প্রগতি অটো রাইস মিলে ঘটনাটি ঘটে।

২২ বছর বয়সী সুমন রাজবাড়ী কাটাপাড়ার শুকুর আলীর ছেলে।

খবর পেয়ে বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মেহেদী হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শেখ জিন্নাহ আল মামুন, কোতয়ালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম মওলা।

মিল সূত্রে জানা গেছে, গত চারদিন ধরে মিলের বয়লাটির বন্ধ ছিল। সোমবার সকালে বয়লারটি চালু করা হয়। সকালে বয়লারটির নিচে কাজ করছিলেন শ্রমিক সুমন। এসময় বয়লারের উপর গরম পানি রাখার ট্যাংকটি বিস্ফোরণ হয়ে সুমনের শরীরে গরম পানি পড়ে। এতে তার শরীর ঝলসে যায়। পরে অন্যান্য শ্রমিকরা তাকে দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে রমেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা নয়ন ইসলাম বলেন, ‘এই মিলে এর আগেও এ ধরনের ঘটনা কয়েকবার ঘটেছে। মিলের পেছনে গরম ছাইগুলো ফেলে। গরম ছাইয়ের কারণে অনেকের পা পুড়ে গেছে। এসব বিষয়ে প্রতিবাদ করলে তারা আমাদের নানাভাবে হয়রানি করে।’

মিলের সহকারী ম্যানেজার সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘দুর্ঘটনার পরপরই আমরা অ্যাম্বুলেন্সে তাকে প্রথমে দিনাজপুর ও পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করি। সেখানে মিলের ম্যানেজার রবিউল ইসলাম সঙ্গে আছে। তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শেখ জিন্নাহ আল মামুন জানান, দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। আহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আমরা ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করেছি।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মেহেদী হাসান জানান, মিলের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীকে জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ করার জন্য বলা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।

মিলের স্বত্বাধিকারী প্রতাপ সাহা পানু জানান, মিল পরিচালনা করা হয় যন্ত্রপাতি দিয়ে। কোনো জায়গায় সমস্যা হওয়ার কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে। আমরা আহতের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি।

এ বিভাগের আরো খবর