বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শিক্ষকের বিরুদ্ধে মাদ্রাসাছাত্রকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

  • প্রতিনিধি, খাগড়াছড়ি    
  • ২৮ আগস্ট, ২০২৩ ১০:০৬

খাগড়াছড়ি সদর থানার এসআই সুজন কুমার চক্রবর্তী জানান, আবিরের শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন আছে। শিক্ষক আমিনুল ইসলামকে আটকের জন্য আইনি প্রক্রিয়া চলছে।

খাগড়াছড়িতে মাদ্রাসার এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

সদরের কমলছড়ি ইউনিয়নের ভুয়াছড়ি রাজশাহী টিলা এলাকার বায়তুল আমান ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসার হেফজ বিভাগে রোববার সন্ধ্যার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

প্রাণ হারানো আট বছর বয়সী আবদুর রহমান আবির পানছড়ি উপজেলার আইয়ুব আলী মেম্বারপাড়ার বাসিন্দা মো. সারোয়ারের ছেলে। গুরুতর আহত অবস্থায় খাগড়াছড়ি আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে জানান।

আবিরের পরিবার জানায়, মারধরের পরে আবিরের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে শিক্ষক নিজেই তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এরপর ওই শিক্ষক পালিয়ে যান।

অভিযুক্ত শিক্ষক হাফেজ আমিনুল ইসলাম মানিকছড়ি উপজেলার গচ্ছাবিল এলাকার বাসিন্দা। তিনি বাইতুল আমান ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের শিক্ষক।

আবিরের চাচা দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘এক মাস আগে ভাতিজাকে বায়তুল আমান ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসার হেফজ বিভাগে ভর্তি করি। আজ (রোববার) সন্ধ্যায় আবিরের বাবা আমাকে হাসপাতালে আসতে বললে এসে দেখি, আমার ভাতিজা আর বেঁচে নেই।’

ওই সময় কান্নারত অবস্থায় তিনি আমিনুল ইসলামের শাস্তি দাবি করেন।

আবিরের খালু নুরুল ইসলাম অভিযোগ করেন, ‘আবিরের শরীরে আঘাতের চিহ্ন আছে। মুখে ও কানেও আঘাত করা হয়েছে। মুখ দিয়ে ফেনা বের হয়েছে। অনেক নৃশংসভাবে মেরে খুন করা হয়েছে শিশুটিকে।’

বায়তুল আমান মাদ্রাসার পরিচালক ফরিদুল আলম জানান, আমিনুল ইসলাম দুই মাস আগে হেফজ বিভাগে যোগ দেন। কী কারণে ছাত্রকে মারধর করা হয়েছে, তা জানেন না বলে জানান তিনি।

ঘটনার সময় তিনি প্রতিষ্ঠানে ছিলেন না বলেও জানান।

খাগড়াছড়ি সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুজন কুমার চক্রবর্তী জানান, আবিরের শরীরে বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন আছে। আমিনুল ইসলামকে আটকে আইনি প্রক্রিয়া চলছে।

এ বিভাগের আরো খবর