বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ব্রিজে উঠতে বাঁশের সাঁকো

  • প্রতিনিধি, কুমিল্লা   
  • ২৫ আগস্ট, ২০২৩ ১৮:২২

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল হাই খান বলেন, ‘এলজিএসপি প্রকল্পটি আমার আওতায় নয়। এটি চেয়ারম্যানদের প্রকল্প। এই প্রকল্পের দায়িত্বে থাকার কথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার।’

ব্রীজ নির্মাণ হলেও তার সুফল পাচ্ছে না এলাকাবাসী। ব্রীজ উঠতে হলে সাহায্য নিতে হয় বাঁশের সাকোর। এমন দৃশ্য দেখা গেছে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার শ্রীকাইল ইউনিয়নের রোয়াচালা গ্রামে। এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে।

সরেজমিনে মুরাদনগর উপজেলার রোয়াচলা-কুড়াখাল এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সড়কের রোয়াচালা উত্তর পাড়া আহাদ মিয়ার বাড়ির পাশের খালে অপরিকল্পিতভাবে ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। এতে জনদুর্ভোগ বেড়েছে। প্রায় দুই বছর আগে ব্রিজটি নির্মাণ করা হলেও সংযোগ সড়ক না হওয়ায় যাতায়াতের জন্য বাঁশের সাঁকোই এখন একমাত্র ভরসা স্থানীয়দের। লোকাল গভর্ন্যান্স সাপোর্ট প্রজেক্ট (এলজিএসপি-৩) কর্মসূচির অধীন এই ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়।

৩০ ফুট প্রস্থ খালের ওপর নির্মাণ করা হয়েছে এই ব্রিজটি। ব্রিজটির দুই পাশ দিয়ে বাঁশের সাঁকো ব্যবহার করে রোয়াচলা-কুড়াখাল সড়ক দিয়ে তিন গ্রামের প্রায় পাচঁ হাজার লোক যাতায়াত করছেন। পাশাপাশি কুড়াখাল ও কুরুন্ডি গ্রামের ৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে শিক্ষার্থীদের পোহাতে হয় চরম দুর্ভোগ। ব্রিজের দুই পাশের সংযোগ সড়কের জন্য মাটির বরাদ্ধ থাকলেও সেখানে মাটি না ফেলায় স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।

জানা যায়, গত ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে এলজিএসপি-৩-এর আওতায় রোয়াচালা আহাদ মিয়ার বাড়ির সামনে কুড়াখাল সড়কের উপর ব্রিজ নির্মাণ ও সংযোগ সড়কের জন্য ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকার বরাদ্দ দেয়া হয় যা গত ২০২১-২০২২ অর্থবছরে বাস্তবায়ন করা হয়।

শ্রীকাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইকবাল বাহার জানান, ব্রিজটির দুই পাশ খুব গভীর হওয়ায় বরাদ্দের সময় সংযোগের জন্য যে টাকা ধরা হয়েছিল, তা দিয়ে রাস্তা নির্মাণ সম্ভব হয়নি। বর্তমানে বর্ষার পানির জন্য দূর থেকে মাটি আনা যাচ্ছে না। আগামী কিছুদিনের মধ্যে পানি কমলেই সেখানে মাটি ফেলে ব্রিজের সাথে সংযোগ করে দেয়া হবে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল হাই খান বলেন, ‘এলজিএসপি প্রকল্পটি আমার আওতায় নয়। এটি চেয়ারম্যানদের প্রকল্প। এই প্রকল্পের দায়িত্বে থাকার কথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার।

এ বিষয়ে মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলাউদ্দিন ভূঞা জনী বলেন, ‘আমি মুরাদনগর উপজেলায় নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যোগদানের পূর্বে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে খুব দ্রুতই সেখানকার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে সড়কের সঙ্গে ব্রিজটির সংযোগের ব্যবস্থা করা হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর