কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীকে দক্ষ মানবসম্পদে রূপান্তরের মাধ্যমে দারিদ্র বিমোচন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। দেশের বিপুল সংখ্যক কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীকে দক্ষ জনগোষ্ঠীতে রূপান্তর করতে না পারলে কাঙ্খিত অর্থনৈতিক অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হবে। দক্ষ জনগোষ্ঠী দেশের সম্পদ।
সুনামগঞ্জে বৃহস্পতিবার ‘জেলা পর্যায়ে দক্ষতা উন্নয়ন ওরিয়েন্টেশন ও জেহুার সেন্সিটাইজেশন’ শীর্ষক এক কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের ‘স্কিলস ফর এম্পয়মেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম (সেইপ)’-এর আওতায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এই কর্মশালা হয়। এতে বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার লোকজন অংশ নেন।
সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রকল্পের সহকারী নির্বাহী পরিচালক ও অর্থবিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ রুহুল আমিন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন প্রকল্পের আইটি অ্যান্ড ডাটা বেইজ স্পেশালিস্ট নাহিদ রাসেল। মূল বক্তব্য তুলে ধরেন প্রকল্পের কর্মকর্তা আবদুল মান্নান।
সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রেজাউল করিমের সঞ্চালনায় কর্মশালায় বক্তব্য দেন জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম, সুনামগঞ্জ কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ মো. আবদুর রউফ, সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক জমসেদ আলী, জেলা পরিষদের সদস্য ফৌজি আর বেগম, জেলা পরিষদ সদস্য ও সুনামগঞ্জ শিল্প ও বণিক সমিতির পরিচালক সেলিনা আবেদীন, ব্যবসায়ী জি এম তাশহিজ, ব্র্যাকের প্রতিনিধি আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।
মোহাম্মদ রুহুল আমিন তার বক্তব্যে বলেন, ‘২০১৪ সাল থেকে এই প্রকল্পের কাজ হচ্ছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে ২০২৪ সালের মধ্যে বিভিন্ন সেক্টরে আট লাখ ৪০ হাজার দক্ষ জনগোষ্ঠী গড়ে তোলা হবে। দক্ষতা থাকলে দেশে-বিদেশে শ্রমিকদের কাজের কোনো অভাব নেই।
‘এই প্রকল্পের আওতায় সারাদেশে ১৪০টি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। প্রশিক্ষণকালীন সময়ে ভাতা এবং পরবর্তী সময়ে চাকরি পেতে সহযোগিতা করা হচ্ছে। সফলভাবে প্রশিক্ষণ সম্পন্নকারীদের কমপক্ষে ৬০ শতাংশ কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেয়া হয়েছে।’
এছাড়া প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে নারীদের অগ্রাধিকার এবং কমপক্ষে ৩০ শতাংশ নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।