জামায়াতে ইসলামির রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে করা আবেদেনের শুনানির জন্য ৩১ আগস্ট দিন ঠিক করেছে আপিল বিভাগ।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
আদালতে এ আবেদনের শুনানির জন্য সময় নির্ধারণ করতে আবেদন জানান আইনজীবী ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর। পরে আদালত ৩১ আগস্ট দিন ঠিক করে দেন।
জামায়াতের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনে নিষেধাজ্ঞা ও নিবন্ধন বাতিল হওয়ার পরও রাজনৈতিক কর্মসূচির মাধ্যমে নিবন্ধন ফেরত চাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে আবেদন করেন মওলানা সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী, হুমায়ন কবির ও ইমদাদুল হক নামে তিন ব্যক্তি।
আবেদনকারিদের আইনজীবী তানিয়া আমীর বলেন, জামায়াতের বিরুদ্ধে আমরা দুটি আবেদন করেছি। তার মধ্যে একটি হলো আদালত কর্তৃক নিবন্ধন বাতিল হওয়ার পর রাজনৈতিক কর্মসূচির মাধ্যমে সেই নিবন্ধন ফিরিয়ে দেয়ার দাবি করেছেন, যা আদালত অবমাননার শামিল। আরেকটি হলো, আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জামায়াত যাতে কোনো সভা-সমাবেশ ও রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে না পারে তার ওপর নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়েছে।
আবেদনে বলা হয়েছে, জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায় এখন পর্যন্ত বহাল রয়েছে। রায় বহাল থাকা অবস্থায় গত ১০ জুন জামায়াতে ইসলামী ঢাকায় সভা-সমাবেশ করেছে। উচ্চ আদালতের রায়ের পর দলটির এ ধরনের কর্মসূচি পালন বেআইনি। একইসাথে উচ্চ আদালতের রায়ের লঙ্ঘন। কারণ রায়ে বলা হয়েছে, দল হিসেবে জামায়াতের নিবন্ধন সংবিধান ও গণ-প্রতিনিধিত্ব আদেশের পরিপন্থী। অতএব কোনভাবেই দলটি সভা-সমাবেশ করার অনুমতি পেতে পারে না। এছাড়া নিবন্ধন বাতিল হওয়ায় তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণে অযোগ্য। কিন্তু এরপরেও সভা-সমাবেশে দলটির নিবন্ধন দাবি করে বক্তব্য প্রদান আদালত অবমাননার শামিল।
১০ বছর পর গত ১০ জুন রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে সমাবেশ করে জামায়াত। এ কর্মসূচি থেকে তাদের নিবন্ধন ফিরিয়ে দেয়াসহ বেশ কয়েকটি দাবি করেন। যা নিয়ে দেশব্যাপী আলোচনার ঝড় ওঠে।
এদিকে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন বাতিলের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আপিল চূড়ান্ত শুনানির জন্য প্রস্তুত করতে দুই মাস সময় দিয়ে গত ৩১ জানুয়ারি আদেশ দেয় আপিল বিভাগ।
২০০৯ সালের এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জামায়াতকে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট রায় দেয় হাইকোর্ট।