বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কাঁচপুরে পুলিশের মামলায় বিএনপির ১১৪ নেতা-কর্মী আসামি, গ্রেপ্তার ৯

  • প্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ   
  • ২১ আগস্ট, ২০২৩ ২২:০৪

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘বিএনপির আন্দোলন কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ ছিল, বরং পুলিশ বিনা উস্কানিতে নেতা-কর্মীদের লাঠিপেটা করেছে। এখন গায়েবি মামলা দিয়ে হয়রানির অপচেষ্টা চালাচ্ছে, নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করছে।’

নারায়ণগঞ্জে কাঁচপুরে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা হয়েছে। এতে বিএনপির ১১৪ জন নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখসহ ৬০০ থেকে ৭০০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।

রোববার রাতে সোনারগাঁ থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলাটি করেন উপপরির্দশ ফিরোজ আহমেদ। এ মামলায় ইতোমধ্যে ৯ জনকে গ্রেপ্তার করে সোমবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

আদালত পুলিশের পরির্দশক আসাদুজ্জামান জানান, মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নাশকতা সৃষ্টি করে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটানো, সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। এ মামলায় এজাহারনামীয় দুইজন ও অজ্ঞাতনামা সাতজনকে গ্রেপ্তারের পর আদালত পাঠায় থানা পুলিশ। পরে তাদের ৭ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে আবেদন জানিয়েছে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।

মামলায় আসামির তালিকায় জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আজহারুল ইসলাম মান্নান, কেন্দ্রীয় সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদসহ ১১৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

গত শনিবার বিকেলে কাঁচপুর এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি শুরু আগেই পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ বাঁধে। এসময় পুলিশ বিএনপি নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। বিএনপি নেতা-কর্মীরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়ে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন।

মামলার আসামিরা বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত জানিয়ে সোনারগাঁ থানার পুলিশ পরিদর্শক আহসান উল্লাহ বলেন, ‘মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। মামলার আসামিরা বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। মামলায় বিএনপির ১১৪ জন নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখসহ ৬০০ থেকে ৭০০ জন অজ্ঞাতনামা আনা আসামি করা হয়েছে।’

তবে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘বিএনপির আন্দোলন কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ ছিল, বরং পুলিশ বিনা উস্কানিতে নেতা-কর্মীদের লাঠিপেটা করেছে। এখন গায়েবি মামলা দিয়ে হয়রানির অপচেষ্টা চালাচ্ছে, নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করছে। নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি এর নিন্দা জানায়, পাশাপাশি বলতে চায়, আন্দোলনকে ভয় পাচ্ছে বলে সরকার পুলিশ দিয়ে হামলা, মামলা করে বিএনপির অন্দোলন দমনের চেষ্টা করছে।’

এ বিভাগের আরো খবর