বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

খুলনার চার চিকিৎসক সিআইডির কাছে কেন, জানতে চায় পরিবার

  • প্রতিনিধি, খুলনা   
  • ২১ আগস্ট, ২০২৩ ১৬:২৪

বিএমএ খুলনা জেলা নেতা ও খুমেক হাসপাতালের উপপরিচালক নিয়াজ মুস্তাফী চৌধুরী বলেন, ‘প্রশ্নফাঁসের ঘটনা একটি মানবতাবিরোধী অপরাধের শামিল। ওই চিকিৎসকরা যদি এর সঙ্গে জড়িত থাকেন, তাহলে তাদের শাস্তি দেয়া হোক, কিন্তু তিন দিন পেরিয়ে গেলেও তাদের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। ব্যাপারটি উদ্বেগের।’

খুলনায় সিআইডি পরিচয়ে শুক্রবার তিন নারী চিকিৎসকসহ চার চিকিৎসককে বাড়ি থেকে ধরে নেয়া হয়।

তাদের কী কারণে নেয়া হয়েছে, তা এখনও জানেন না তাদের পরিবারের সদস্যরা।

ওই চার চিকিৎসক হলেন শর্মিষ্ঠা মণ্ডল, নাজিয়া মাহজাবিন, মুসতাহিন হাসান ও লুইস সৌরভ সরকার। এদের মধ্যে শর্মিষ্ঠা মণ্ডল খুলনা মেডিক্যাল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক ও লুইস সৌরভ সরকার মেডিক্যাল অফিসার। অন্যরা প্রাইভেট প্র্যাকটিস করতেন।

এ ঘটনার পর ঢাকা সিআইডি কার্যালয়ে তাদের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি বলে দাবি পরিবারের সদস্যদের।

খুলনা বিএমএ ভবনে সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে প্রথমবারের মতো সংবাদমাধ্যমের সামনে এসে এসব কথা বলেন চার চিকিৎসকের অভিভাবকরা।

সংবাদ সম্মেলনে তাদের অভিভাবকরা জানান, ১৮ আগস্ট ভোরের দিকে কয়েকজন সিআইডি পরিচয়ে তাদের বাড়িতে যান। ওই দলের সঙ্গে দুই নারী সদস্যও ছিলেন। পরে ওই চার চিকিৎসককে এক ধরনের জোর করে সাদা মাইক্রোবাসে করে নিয়ে যাওয়া হয়, কিন্তু কেন ও কী কারণে তাদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তা জানানো হয়নি। তাদের কাছে কোনো গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও ছিল না।

অভিভাবকরা আরও জানান, চিকিৎসদের নিয়ে যাওয়ার সময় যোগাযোগ করার জন্য একটি মুঠোফোন নম্বর দিয়ে যাওয়া হয়, কিন্তু ওই নম্বরে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও কেউ ফোন ধরছেন না।

বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) খুলনা জেলা নেতা ও খুমেক হাসপাতালের উপপরিচালক নিয়াজ মুস্তাফী চৌধুরী বলেন, ‘মেডিক্যাল কলেজ ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে তাদের জড়িত থাকার ব্যাপারে সন্দেহ করা হচ্ছে।’

অভিভাবকরা জানান, তাদের সন্তানরা খুবই মেধাবী। তদের বিরুদ্ধে যে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ করা হচ্ছে তা সত্য নয়।

ওই চার চিকিৎসক ‘থ্রি ডক্টরস’ নামের একটি মেডিক্যাল ভর্তি কোচিং সেন্টারে কোচিং করেছেন বলে জানান অভিভাবকরা।

মুস্তাফী চৌধুরী বলেন, ‘প্রশ্নফাঁসের ঘটনা একটি মানবতাবিরোধী অপরাধের শামিল। ওই ব্যাপারটি নিয়ে কোনো আপত্তি নেই, ওই চিকিৎসকরা যদি এর সঙ্গে জড়িত থাকেন, তাহলে তাদের শাস্তি দেয়া হোক।

‘কিন্তু তিন দিন পেরিয়ে গেলেও তাদের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। ব্যাপারটি উদ্বেগের। তাদের বিরুদ্ধে যদি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকে, তাহলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সেটি পরিবার ও গণমাধ্যমের কাছে পরিস্কার করা উচিত।’

তিনি বলেন, ‘যে কোচিং সেন্টারে তারা মেডিক্যাল ভর্তি কোচিং করেছিলেন, সেই কোচিং সেন্টারের উপদেষ্টা চিকিৎসক ইউনুস উজ্জামান খাঁন ওরফে তারিমকে আটক করেছে ঢাকা সিআইডি। ওই তিন নারী চিকিৎসক ২০১৫ সালে এই কোচিং সেন্টারে ভর্তি হয়েছিলেন। আর লুইস সৌরভ সরকার ছিলেন ২০১২ সালের ব্যাচের শিক্ষার্থী। বর্তমানে লুইস সৌরভ ওই কোচিং সেন্টারের শিক্ষক।’

খুমেকের অধ্যক্ষের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় দেড় মাস আগে সিআইডি থেকে অধ্যক্ষকে চিঠি দেয়া হয়। তাতে ২০১৫ সালে মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে খুমেকে ভর্তি হয়েছে এমন ১১ শিক্ষার্থীর অ্যাকাডেমিক তথ্য চাওয়া হয়। গত ১৬ জুলাই অধ্যক্ষের কার্যালয় থেকে ওই ১১ শিক্ষার্থীর তথ্য সিআইডিকে দেয়া হয়। যে তিন জন নারী চিকিৎসককে সিআইডি আটক করেছে, তারাও ওই ১১ জনের তালিকাভুক্ত।

খুমেকের অধ্যক্ষ অধ্যাপক দীন-উল-ইসলাম বলেন, ‘সিআইডির চাহিদার প্রেক্ষিতে আমরা তথ্য দিয়েছি। ওইসব শিক্ষার্থীরা যদি ফাঁস হওয়া প্রশ্নে এখানে ভর্তি হন, তাহলে রাষ্ট্রীয় আইন মোতাবেক তাদের শাস্তি হোক।’

এ বিভাগের আরো খবর