বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

খুলনা মেডিক্যালের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষ: ফার্মেসির মালিক, কর্মচারী গ্রেপ্তার

  • প্রতিবেদক, খুলনা   
  • ১৭ আগস্ট, ২০২৩ ১২:০০

সোনাডাঙ্গা মডেল থানার ওসি মমতাজুল হক বলেন, ‘মামলা হওয়ার পর আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করে পুলিশ। রাত সাড়ে ৩টার দিকে মাহমুদুরকে বয়রা বাজার এলাকা থেকে ও পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ৩টা ৫০ মিনিটের দিকে বায়জিদকে ছোট বয়রার হাসানবাদ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের আদালতে সোপর্দ করার প্রক্রিয়া চলছে।’

খুলনা মেডিক্যাল কলেজ (খুমেক) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় দুই ওষুধ ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

একাধিক এলাকা থেকে বুধবার গভীর রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

এর আগে মঙ্গলবার রাতে মেডিক্যাল কলেজের পক্ষ থেকে করা অভিযোগটি বুধবার বিকেলে মামলা হিসেবে নেয় সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশ।

গ্রেপ্তার দুইজন হলেন খুমেক হাসপাতালের সামনে অবস্থিত বিপ্লব মেডিসিন কর্নারের মালিক এস এম মাহমুদুর রহমান ও ওই দোকানের কর্মচারী মীর বায়েজিদ। ওষুধের দাম নিয়ে ওই দোকানের মালিক ও কর্মচারীদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের প্রথম ঝগড়া শুরু হয়েছিল।

সোনাডাঙ্গা মডেল থানার ওসি মমতাজুল হক বলেন, ‘মামলা হওয়ার পর আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করে পুলিশ। রাত সাড়ে ৩টার দিকে মাহমুদুরকে বয়রা বাজার এলাকা থেকে ও পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ৩টা ৫০ মিনিটের দিকে বায়েজিদকে ছোট বয়রার হাসানবাদ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের আদালতে সোপর্দ করার প্রক্রিয়া চলছে।’

এর আগে বুধবার রাত ৯টার দিকে সংঘর্ষে আহত শিক্ষার্থীদের দেখতে খুমেক হাসপাতালে যান খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য সেখ সালাউদ্দিন জুয়েল ও খুলনা সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক। ওই সময় সংসদ সদস্য সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশকে ফোন করে শিক্ষার্থীদের মারধরকারী ব্যবসায়ীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন। তিনি শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করার প্রতিশ্রুতি দেন।

প্রেক্ষাপট

গত সোমবার রাত ৯টার দিকে ওষুধ কেনাকে কেন্দ্র করে ওষুধ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে খুমেক শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০ শিক্ষার্থী ও ৯ ওষুধ ব্যবসায়ী আহত হন। এর মধ্যে তিন শিক্ষার্থীর অবস্থা ছিল গুরুতর।

ওই ঘটনার প্রতিবাদে তাৎক্ষণিকভাবে কর্মবিরতি শুরু করেন খুমেক হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। অন্যদিকে হাসপাতালের সামনের ওষুধ ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ রাখেন।

আসামি গ্রেপ্তার না হওয়ায় বুধবার সকালে মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ ও হাসপাতালের পরিচালক ও উপপরিচালকের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা। পরে মেডিক্যাল কলেজ চত্বরে দিনভর বিক্ষোভ করেন।

ওই বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে শিক্ষার্থীরা ঘোষণা করেন, তাদের তিন দফা দাবি মেনে না নেয়া হলে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে খুমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করবেন।

তিন দফা দাবি

শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবির মধ্যে ছিল ১৬ আগস্ট সকাল ১০টার মধ্যে হামলার সঙ্গে জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তার করা, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে হাসপাতালের মাল্টিপারপাস ভবনে কমপক্ষে দুটি মডেল ফার্মেসি স্থাপন ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে কলেজ ক্যাম্পাসে পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন করা। এর মধ্যে দ্বিতীয় দাবিটি বুধবার দুপুরে বাস্তবায়নের ঘোষণা দেন হাসপাতালের পরিচালক মো. রবিউল ইসলাম‌।

ওই সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, হাসপাতালের সামনের ‘বিপ্লব মেডিসিন কর্নার’ নামের একটি দোকানে ওষুধ কিনতে যান প্রথম বর্ষের এক শিক্ষার্থী, কিন্তু ওই দোকান থেকে ওষুধটির দ্বিগুণ দাম চাওয়া হয়। এটা নিয়ে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে ওই শিক্ষার্থীকে মারধর করেন দোকানের কর্মচারীরা। পরে ওই শিক্ষার্থী হোস্টেলে এসে অন্যদের ব্যাপারটি জানান।

কয়েকজন শিক্ষার্থী কেন ওই শিক্ষার্থীকে মারধর করা হয়েছে তা জানতে দোকানে গেলে ওত পেতে থাকা অন্য ব্যবসায়ীরা শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও হয়ে ব্যাপক মারধর করেছেন। এতে তাদের বিভিন্ন বর্ষের অন্তত ২০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হলেও ২৯ ব্যাচের আনান, ৩১ ব্যাচের মাহাদি ও দেব চৌধুরীর অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। তাদের মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে, তবে তারা এখন শঙ্কামুক্ত।

অন্যদিকে ওষুধ ব্যবসায়ীদের দাবি, ওই শিক্ষার্থী ৭০ টাকার ওষুধ কেনার পর মোট দামের ওপর ১০ শতাংশ কমিশন চেয়েছিলেন, তবে দোকানদার ওই কমিশন দিতে রাজি না হওয়ায় দুজন বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এর জেরে মেডিক্যাল কলেজের হল থেকে শিক্ষার্থীরা এসে ওই দোকানে ভাঙচুর চালায়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ওই ঘটনায় ৯ ওষুধ ব্যবসায়ী আহত হন।

এ বিভাগের আরো খবর