জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর তিন উপদেষ্টাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এই আয়োজনে অংশ নেন। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া। সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মো. আহসান কিবরিয়া সিদ্দিকি।
আলোচনা অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তার দীর্ঘ সময় কাজ করার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।
প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বীরবিক্রম জাতির পিতা বাঙালি জাতিকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার যে উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছিলেন তা সে সময়ের তরুণ এই কর্মকর্তাকে কিভাবে প্রভাবিত করেছিল সেই ইতিহাস তুলে ধরেন।
আলোচনায় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের মমতা, অ্যাপ্যায়ন ও বঙ্গবন্ধু জেলে থাকা অবস্থায় দল পরিচালনার কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘আমি শেখ কামালের বন্ধু ছিলাম। বঙ্গমাতা আমাদের মমতা নিয়ে আপ্যায়ন করতেন। খাওয়া শেষ না হওয়া অবধি পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে।’
সরকার পরিচালনা বিশেষ করে শূন্য রাষ্ট্রীয় কোষাগার নিয়ে বৈদেশিক বাণিজ্য পরিচালনায় জাতির পিতার দূরদর্শিতার কথা উল্লেখ করেন তিনি।
সভাপতির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের জাতীয়তাবাদের চেতনা দিয়ে গেছেন। অথচ তার মৃত্যুর পর মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে অপপ্রচার হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন জাতির পিতা তার সাড়ে তিন বছর সরকার পরিচালনাকালে যেসব উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করেছিলেন এবং দেশকে সোনার বাংলায় পরিণত করতে যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন সেসব তুলে ধরেন।
স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স-এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মজিবুর রহমান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের নিষ্ঠুরতায় রক্ষা পায়নি শিশু ও নারী।’
এই হত্যাকাণ্ডকে তিনি ‘কারবালা’র নিষ্ঠুরতার সঙ্গে তুলনা করেন।
আলোচনা শেষে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকের নির্মম বুলেটে শাহাদাৎবরণকারী জাতির পিতা, বঙ্গমাতা ও পরিবারের সদস্যসহ নিহত সব শহীদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়ার আয়োজন করা হয়। দোয়া অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম, প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল কবীর আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধিভুক্ত দপ্তর প্রধানগণ, মহাপরিচালকবৃন্দ এবং বিভিন্ন উইং-এর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।