বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মেডিক্যালের প্রশ্নফাঁসে জড়িত মেডিকো কোচিংয়ের মালিক

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১২ আগস্ট, ২০২৩ ২৩:৪০

প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে ৭ চিকিৎসকসহ চক্রের ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি। তাদের একজন ডা. জোবাইদুর রহমান জনি ২০০৫ সাল থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের সঙ্গে জড়িত।

মেডিক্যাল কলেজগুলোতে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস চক্রে জড়িত মেডিকো কোচিং সেন্টারের মালিক ডা. জোবাইদুর রহমান জনি। ২০০৫ সাল থেকে এই চক্রের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন তিনি। প্রশ্নফাঁস চক্রের মাস্টারমাইন্ড জসিমের অন্যতম সহযোগী এই জনি।

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) সূত্রে এমনটা দাবি করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরোর প্রেসে মেশিনম্যানের দায়িত্বে থাকা আব্দুস সালামের খালাত ভাই জসিম। প্রেস থেকে প্রশ্ন ফাঁসের পর জসিম সেগুলো সারাদেশে বিক্রি করতেন। আর এই সিন্ডিকেট তৈরিতে অন্যতম সহযোগী মেডিকো কোচিং সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী পরিচালক জোবাইদুর রহমান জনি। তিনি দেশের বিভিন্ন স্থানে মেডিকো কোচিং সেন্টারের শাখা খুলে ফাঁস করা প্রশ্নপত্র বিক্রির সিন্ডিকেট তৈরি করে দেন।

সিআইডির সূত্র দাবি করেছে, মেডিকো কোচিং সেন্টারের মালিকের সঙ্গে আরও কিছু কোচিং সেন্টারের মালিক মেডিক্যালের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস এবং বিক্রিতে জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে।

প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে ৭ চিকিৎসকসহ চক্রের ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি। সংস্থাটির মুখপাত্র আজাদ রহমান গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে সিআইডির এক কর্মকর্তা জানান, গ্রেপ্তার হওয়াদের একজন হলেন জনি। ২০০৫ সাল থেকে এই চক্রের সঙ্গে জড়িত তিনি। প্রশ্নপত্র ফাঁসের পাশাপাশি মেডিক্যাল ভর্তি যোগ্যতার অবৈধ কাগজ তৈরি করে ‘চান্স পাইয়ে দেয়া’র তথ্য পাওয়া গেছে। মাস্টারমাইন্ড জসীমের গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী তিনি। তার বিরুদ্ধে দেশে বাড়ি-গাড়ি করার পাশাপাশি বিদেশেও কোটি কোটি টাকা পাচারের তথ্য পাওয়া গেছে।

এ পর্যন্ত কয়েক হাজার পরীক্ষার্থীর কাছে ফাঁস করা প্রশ্নপত্র বিক্রির তথ্য পেয়েছে সিআইডি।

সিআইডির এই অভিযানে চক্রের আরেক সদস্য আক্তারুজ্জামান তুষারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জসিমের ঘনিষ্ঠ সহচর তুষার ই-হক কোচিং সেন্টারের সঙ্গে জড়িত। তিনিও ২০০৫ সাল থেকে এই চক্রের সদস্য। এর আগে ২০১২ সালে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। ছাড়া পেয়ে একই কাজে জড়িত হওয়ায় ২০১৫ সালে র‍্যাবের হাতে ধরা পড়েছিলেন এই তুষার।

তদন্ত-সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, ভুয়া কাগজ তৈরি করে এ পর্যন্ত কতজনকে মেডিক্যালে ভর্তি করানো হয়েছে সে ব্যাপারে তথ্য পাওয়া গেছে। চক্রের বাকি সদস্যদের সম্পর্কেও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন তুষার।

মেডিক্যালের প্রশ্নপত্র ফাঁসকারী চক্রের প্রধান জসিম উদ্দিন ভুঁইয়ার বাড়ি মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর থানার জয়মন্টব ইউনিয়নের খানবানিয়ারা গ্রামে।

সিআইডি সূত্রে জানা গেছে, জসিম প্রশ্নফাঁসে জড়ান তার খালাতো ভাই সালামের মাধ্যমে। স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরোর প্রেসে মেশিনম্যান হিসেবে কাজ করতেন সালাম। তার সঙ্গেই প্রেসে যাতায়াত। এক সময় দুই ভাই মিলে গড়ে তোলেন মেডিক্যালের প্রশ্নপত্র ফাঁসের সিন্ডিকেট।

২০১১, ২০১৫ ও ২০২০ সালে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন জসিম। জামিনে ছাড়া পেয়ে একই অপরাধে জড়ান তিনি। একটি ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে চাকরি করতেন জসিম। নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান জসিমের সম্পদ ফুলে ফেঁপে ওঠে প্রশ্নফাঁস চক্রে জড়ানোর পর থেকে। ঢাকার একাধিক এলাকায় বাড়ি, গার্মেন্টস, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান, বিদেশে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষার্থী পাঠানোর কনসালটেন্সি প্রতিষ্ঠান রয়েছে তার।

সিআইডির মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজাদ রহমান বলেন, ‘সাতজন চিকিৎসকসহ প্রশ্ন ফাঁসকারী চক্রের মোট ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি সদর দপ্তরের মিডিয়া সেন্টারে এ বিষয়ে ব্রিফ করবেন সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া।’

এ বিভাগের আরো খবর