চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নিপেন পাল বলেন, ‘মজুরি বোর্ডের কাজ হচ্ছে সব পক্ষের সঙ্গে বৈঠক করে মজুরি বা অন্যান্য বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া, কিন্তু মজুরি বোর্ড যে মজুরি ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করেছে, তাতে আমাদের চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেউ ছিল না।’
চা শ্রমিক ইউনিয়নকে ছাড়া ‘একতরফাভাবে’ চা শিল্পের জন্য বাংলাদেশ মজুরি বোর্ডের প্রকাশিত গেজেটটি পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন।
চা শ্রমিকদের প্রতিনিধি হিসেবে স্বীকৃত চা শ্রমিক ইউনিয়ন শনিবার বিকেলে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে প্রধান কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির জরুরি বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সামনে এ দাবি তুলে ধরে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মাখল লাল কর্মকার, সাধারণ সম্পাদক নিপেন পালসহ সংগঠনের অন্যান্য নেতারা।
সাধারণ সম্পাদক নিপেন পাল বলেন, ‘মজুরি বোর্ডের কাজ হচ্ছে সব পক্ষের সঙ্গে বৈঠক করে মজুরি বা অন্যান্য বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া, কিন্তু মজুরি বোর্ড যে মজুরি ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করেছে, তাতে আমাদের চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেউ ছিল না।
‘আমরা গেজেটে অনেকগুলো বিষয় লক্ষ্য করেছি, যা চা শ্রমিকদের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক হবে। বলা হচ্ছে বছরে মাত্র ৫ শতাংশ মজুরি বৃদ্ধি হবে, কিন্তু বর্তমান বাজারে বছরে দ্রব্যমূল্য ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ বাড়ে। সেখানে শ্রমিকরা কিভাবে খেয়ে-পরে বেঁচে থাকবে?’
তিনি আরও বলেন, ‘এ রকম অনেক বিষয় গেজেটে এসেছে। আমরা এই গেজেটটি পুনর্বিবেচনার দাবি জানাই। আমরা গেজেটটি আরও ভালো করে দেখে শিগগিরই প্রতিবাদ সভা ও মানবন্ধন করব।’