বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

খরচ জোগাতে ‘ডেলিভারিম্যান’ ছাত্রলীগ নেতা সুমন

  • প্রতিনিধি, খাগড়াছড়ি   
  • ১১ আগস্ট, ২০২৩ ২৩:৪০

সুমন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ মনে-প্রাণে ধারণ করি বলেই সৎ পথে রোজগারের পথ বেছে নিয়েছি।’

বৃদ্ধ মা-বাবার চিকিৎসা ও নিজের পড়াশোনার খরচ জোগাতে দৈনিক চার শ’ টাকা মজুরিতে পণ্য ডেলিভারির কাজ করেন ছাত্রলীগের সভাপতি। হ্যাঁ, এমনই চিত্র দেখা গেছে খাগড়াছড়িতে।

ছাত্রলীগের ওই নেতার নাম সুমন মিয়া। তিনি খাগড়াছড়ির মহালছড়ি সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি।

এর আগে এ শাখা কমিটির আইনবিষয়ক সম্পাদক ও নিজস্ব ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সদস্য ছিলেন তিনি। চলতি বছরেই মহালছড়ি কলেজ ছাত্রলীগের মেয়াদ শেষ হওয়ায় কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। সেখানে সভাপতি করা হয় সুমন মিয়াকে।

সুমন মিয়া মহালছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের বসর মেম্বার পাড়ার আবদুল করিমের ছেলে। সুমনের পিতা একসময় দিনমজুর হিসেবে কাজ করলেও বর্তমানে বার্ধক্যজনিত সমস্যা ও অসুস্থতার কারণে কাজকর্ম ছেড়ে দিয়েছেন। তাই পরিবারের হাল ধরতে হয়েছে সুমনকে।

সুমন ২০১৮ সালে এসএসসি পাশ করে মহালছড়ি সরকারি কলেজে ভর্তি হন। একবছর পর অর্থাভাব ও পরিবারের দ্বায়িত্ব কাঁধে চাপলে তার পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যায়। অনেক সময় না খেয়ে দিন কাটাতে হয়েছে তার।

তবে এতকিছুর মাঝেও তার মনোবল কিংবা ইচ্ছাশক্তি হারায়নি। এত সমস্যার মাঝেও রাজনৈতিক সকল প্রোগ্রামে নেতা-কর্মীদের নিয়ে উপস্থিত থেকে চাঙ্গা রেখেছেন রাজনীতির মাঠ৷ ২০১৮ সালে বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের হামলার শিকারও হতে হয়েছে তাকে।

গত বছর ফের এইচএসসিতে ভর্তি হন অদম্য মনোবলের অধিকারী সুমন। তার সাংগঠনিক দক্ষতা ও নেতৃত্বের মূল্যায়ন করে চলতি বছরে তাকে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি করে জেলা ছাত্রলীগ৷

বৃহস্পতিবার সকালে পণ্য ডেলিভারির সময় নিউজবাংলার সঙ্গে কথা হয় সুমন মিয়ার। তিনি জানান, মা-বাবার চিকিৎসা, নিজের পড়ালেখা ও সাংগঠনিক খরচ মেটাতে দৈনিক ৪০০ টাকা মজুরিতে স্থানীয় এক পরিবেশকের পণ্য দোকানে দোকানে ডেলিভারি করেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ মনে-প্রাণে ধারণ করি বলেই সৎ পথে রোজগারের পথ বেছে নিয়েছি।’

মহালছড়ি উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জিয়াউর রহমান বলেন, ‘সুমন তার পিতা-মাতাসহ একটি ভাঙা ঘরে থাকে। ফুটো চালে বৃষ্টির পানি ঘরে ঢোকে। তার এমন দুরবস্থার কথা উপজেলার কমবেশি সকল নেতা-কর্মীই জানেন। কিন্তু সহযোগিতার জন্য কেউ এগিয়ে আসেন না।’

খাগড়াছড়ি জেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক উবিক মোহন ত্রিপুরার সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হলে এ বিষয়ে তিনি অবগত ছিলেন না বলে জানান। তবে তিনি জানান, খোঁজখবর নিয়ে সুমনের পাশে দাঁড়াবে জেলা ছাত্রলীগ।

মহালছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রতন কুমার শীল বলেন, ‘সুমনের আর্থিক দুরবস্থার কথা আমি জানি। আমার কাছে সহযোগিতা চাইলে আমি সহযোগিতা করব৷ তবে সুমন কখনও সহযোগিতার জন্য আসেনি।’

এ বিভাগের আরো খবর