বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শ্বশুর বিদেশ যেতে পুত্রবধূর কাছে যৌতুক দাবি, না পেয়ে হত্যা

  • প্রতিনিধি, মাদারীপুর   
  • ১১ আগস্ট, ২০২৩ ২০:৪০

নিহতের পরিবারের সদস্যদের দাবি, প্রেমের সম্পর্ক থাকায় দুই পরিবারের সম্মতিতে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় দুই লাখ টাকা যৌতুক দিলেও পরে আরও টাকা দাবি করতে থাকে মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকজন।

মাদারীপুরে যৌতুকের টাকা না দেয়ায় শান্তা নামের এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগে স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার রাতে মাদারীপুর পৌর শহরের মাছ বাজার এলাকার একটি ভাড়া বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত গৃহবধূ ১৯ বছর বয়সী শান্তা আক্তার সদর উপজেলার মধ্য পাঁচখোলা এলাকার নাঈম সরদারের স্ত্রী।

শুক্রবার সকালে মাদারীপুর সদর হাসপাতাল থেকে শান্তার স্বামীকে আটক করে পুলিশ।

শান্তার পরিবার ও হাসপাতাল সূত্র জানায়, প্রেমের সম্পর্ক থাকায় মাদারীপুর সদরের মধ্য পাঁচখোলা এলাকার ইলিয়াস হাওলাদারের মেয়ে শান্তা আক্তার ও পার্শ্ববর্তী জাজিলা এলাকার রিপন সরদারের ছেলে নাঈম সরদারের বিয়ে হয়। দুই পরিবারের সম্মতিতেই চার মাস আগে দুই লাখ টাকা যৌতুক দিয়ে তাদের বিয়ে হয়।

কিন্তু বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন সময় আরও যৌতুক দাবি করতে থাকেন নাঈম। কয়েকবার তাকে চাহিদা অনুযায়ী বেশ বড় অংকের টাকাও দেয় কনেপক্ষ। তারপরও এ নিয়ে মাঝেমধ্যেই শান্তাকে মারধর করতেন নাইম। মারধরের বিষয়ে নাইমের বাড়ির লোকজনও তাকে সমর্থন করত।

বৃহস্পতিবার রাতে শান্তার শ্বশুর রিপন সরদার বিদেশে যাওয়ার জন্য ছেলের শ্বশুরবাড়ি থেকে আরও তিন লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। এ টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় নাইম ও তার পরিবার মিলে শ্বাসরোধ করে শান্তা করে। হত্যার পর সকালে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে রেখে পালানোর সময় পুলিশ হাসপাতাল থেকে নাঈমকে আটক করে।

নিহত শান্তার নানি মায়া বেগম বলেন, ‘আমরা বিয়ের সময় জামাই বাড়ির লোকজনকে দুই লাখ টাকা দিয়েছি। পরে আমার নাতিন জামাই তার বাবা বিদেশে যাবে বলে নাতির কাছে আরও তিন লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। এসময় শান্তা বলেছে, তার স্বামী নাঈম বিদেশে গেলে টাকা কামাই করতে পারবে কিন্তু, তার শ্বশুর বিদেশে গেলে টাকা কামাই করতে পারবে না। এ কথা বলায় তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন আমার নাতিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। আমরা হত্যারকারীদের বিচার চাই।’

শান্তার বাবা ইলিয়াস হাওলাদার বলেন, ‘যারা মানুষ মারে তারা মানুষ নয়, তারা পশু। যারা আমার মেয়েকে হত্যা করেছে, আমি তাদের ফাঁসি চাই।’

মাদারীপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসক শিহাব আহমেদ বলেন, ‘এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে না পাওয়া পর্যন্ত তা বলা যাচ্ছে না।’

মাদারীপুর সদর থানার ওসি মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তার স্বামীকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কাজ চলছে।’

এ বিভাগের আরো খবর