খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) বিশেষ শাখার তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী শেখ গোলাম মোস্তফা ওরফে ট্যারা মোস্ত গ্রেপ্তার হয়েছেন।
বুধবার ভোরে লবণচরা থানার বান্দাবাজার এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে ৪৭ বছর বয়সী মোস্তফাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারের পর বুধবার দুপুর ২টার দিকে কেএমপির প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন পুলিশ কমিশনার মোজাম্মেল হক।
এ সময় পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘ট্যারা মোস্ত একজন শীর্ষ সন্ত্রাসী ও ভূমিদস্যু। খুলনা জেলা ও খুলনা মহানগরীর বিভিন্ন থানায় তার বিরুদ্ধে আটটি হত্যা, চারটি চাঁদাবাজি, একটি জালিয়াতি, একটি অস্ত্র আইনের মামলা ছাড়াও ১২টি মামলাসহ সর্ব মোট ২৬টি মামলা রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রায়ই অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত হয়ে গ্রেপ্তার হন ট্যারা মোস্ত। পরে আবার নানাভাবে আইনের গণ্ডি থেকে বেরিয়ে যান তিনি। এবার প্রসিকিউশনের সঙ্গে আলোচনা করে পর্যাপ্ত স্বাক্ষী আদালতে হাজির করে তার শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।’
লবণচরা থানার ওসি এনামুল হক বলেন, ‘সম্প্রতি সে ভূমিদস্যুতা করতে গিয়ে তোফাজ্জেল হোসেন নামের একজনকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ৭০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। পরে তার কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা আদায় করেন। বাকি টাকা আনতে গিয়ে তোফাজ্জেলকে না পেয়ে তার বাড়িতে ভাংচুর চালান তিনি।
‘তোফাজ্জলের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ করা হয়েছিল। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে আজ রাতে অভিযান চালিয়ে ট্যারা মোস্তকে গ্রেপ্তার করা হয়।’
তিনি বলেন, ‘গ্রেপ্তারের পর তোফাজ্জেল হোসেনের ভাই মোফাজ্জেল হোসেন বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে চাঁঁদাবাজির মামলা করেছে। ট্যারা মোস্তকে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদনসহ আদালতে পাঠানো হয়েছে।’